আত্মতুষ্টিতে না ভুগে নেতাকর্মীদের সব সময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আত্মতুষ্টিতে থাকা যাবে না, আত্মতুষ্টি মানেই পতন। প্রতিপক্ষকে সব সময় শক্তিশালী মনে করেই চলতে হবে। একই সঙ্গে সব জায়গায় দল ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে হবে।’
সোমবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে নিউইয়র্কে সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেই গণভবনে দেয়া এক সংবর্ধনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শত বাধা-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজ আত্মমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত দেশ। জনসমর্থন ও একের পর এক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারায় টানা দুই মেয়াদে দেশের মর্যাদাপূর্ণ সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি, এটা মাথায় রেখেই চলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণই দেশকে সবচেয়ে এগিয়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশে বিদেশে সব অর্জন জনগণকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
সফরকালে মানবিক দিক বিবেচনায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে শান্তিপূর্ণ কূটনীতিক প্রচেষ্টার জন্য পাওয়া দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করে তিনি।
এর আগে সকাল নয়টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (নম্বর বিজি-২০২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে বিমানবন্দর থেকে গণভবনে পৌঁছানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্টাফ রিপোর্টার: