জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম. ফিরোজ বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের কোন মানুষ কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকুক সেটা চান না। দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কথা ভেবেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। নদী ভাঙ্গনসহ নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মেকাবেলায়ও সর্বদা জনগণের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার দুপুরে বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের পূরানো লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রবের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নদী ভাঙ্গণ রোধ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে সুসম উন্নয়নে বিশ্বাসী। বাউফলবাসীকে ভালবাসে বলেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধুলিয়া ইউনিয়নকে তেঁতুলিয়া নদীর হাত থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্পে অনুমোদন পেয়েছে।
এসময় দেশকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং স্বাধীনতাবিরোধিদের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়ার আহবান জানান চীফ হুইপ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ বছর পর্যন্ত মেঘনার অববাহিকা প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাসে বাউফলের মাণচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ধুলিয়া ইউনিয়ন। ইতিমধ্যেই ধুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় এক তৃতীয়ংাশ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। তেঁতুলিয়া পাড়ের শত শত পরিবার আজ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ধুলিয়া ইউনিয়নবাসী প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পেতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল। সর্বশেষ ধুলিয়াবাসীরা গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসকাবের সামনে মানববন্ধন করেন। নদী ভাঙ্গণ থেকে ধুলিয়াবাসিকে রক্ষায় জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ.স.ম.ফিরোজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সহায়তা কামণা করেন। এরই প্রেক্ষিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ধুলিয়া ইউনিয়নকে নদী ভাঙ্গণের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৭০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা আ. মতিন, ঢাকাস্থ বাউফল জণক্যাল্যান সমিতির সভাপতি ডা. মাহাবুব উদ্দিন মফু, বাউফলের সিনিয়র সাংবাদিক অতুল পাল, পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহামুদ, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ধুলিয়া নদী ভাঙ্গণ রোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন বাবুল প্রমূখ। অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিল করা হয় এবং বালুর বস্তা ফেলে কাজের উদ্বোধন করা হয়।