: শুরু থেকেই পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির ও মূল মজুরি মেনে নেয়নি শ্রমিকরা। মূল মজুরি ৫১ শতাংশের জায়গায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি করেছে তারা। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মালিকপক্ষ ৬ হাজারের পরিবর্তে শ্রমিকদের মজুরি ৮ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছে। এর বেশি বাড়াতে নারাজ তারা।
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দিন থেকেই গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কারা ফেডারেশনসহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন সরকার নির্ধারিত এই মজুরিকে মেনে না নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে। মজুরি পুনঃনির্ধারণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এর আগে একই সংগঠন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশারেফা মিশু বলেন, আমরা তো শুরু থেকেই শ্রমিকদের ন্যূনমত মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি করে আসছি। কিন্তু মালিকপক্ষ আর সরকার মিলে এর ধারেকাছেও কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করেছে। এর মধ্যে মূল বেতন ধরা হয়েছে ৫১ শতাংশ। যার ফলে শ্রমিকদের জীবন মান কোনো ভাবেই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। ১৬ হাজার টাকা না করা হলেও মূল বেতন ৫১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হলে শ্রমিকরা কিছুটা উন্নত জীবন-যাপন করতে পারবে বলে আমি মনে করছি।
বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের দাবি মজুরি যা নির্ধারণ হয়েছে তা সব পক্ষের মঙ্গলের কথা ভেবেই নির্ধারিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সব দিক বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন কেউ যদি এ মজুরি না মানে তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাইতে শ্রমিকরা আমাদের বেশি আপন। আমরা মালিকরা সব সময় শ্রমিকদের কল্যাণই চাই।
শ্রমিক পক্ষ দাবি করছে ঘোষিত ৮ হাজার টাকা মোট মজুরির মধ্যে মূল মজুরি ধরা হয়েছে মাত্র ৪ হাজার ১০০ টাকা অর্থাৎ ৫১ শতাংশ। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ওভারটাইম ভাতা, ঈদ বোনাস, ক্ষতিপূরণের টাকা, সার্ভিস বেনিফিট, অবসরকালীন সুবিধা সবকিছুই নির্ধারিত হয় মূল মজুরিকে ভিত্তি করে। তাই মূল মজুরি কম থাকলে সব ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বঞ্চিত হয় উল্লেখ করে তারা দাবি করেন মূল মজুরি ৫১ শতাংশের পরিবর্তে ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করার।স্বপ্না চক্রবর্তী