কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযানে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় মো. আলী নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
টেকনাফ ২-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী মশুর বসত-বাড়িতে ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি ইয়াবার বড় চালান লুকায়িত থাকতে পারে বলে জানা যায়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ২-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ নাজির পাড়া বিওপির নায়েব সুবেদার মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত ব্যক্তির বাড়িতে গমন করে। টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক মোস্তাক আহম্মদ মশু অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল উক্ত বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে ২৩ হাজার টাকা মূল্যমানের ৪টি মোবাইলফোন, এক মাদক ব্যবসায়ীসহ এবং বসত-বাড়ির খাটের নীচে রক্ষিত ময়লাযুক্ত প্লাষ্টিকের ব্যাগ হতে ৩০ লাখ মূল্যমানের ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটক মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ পৌরসভা উত্তর জালিয়া পাড়া এলাকার মৃত আলী জোহারের ছেলে মো. আলীকে(২৮) আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটক মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী এবং বসত-বাড়ির মালিক তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মদ মশুসহ ২০ জনকে পলাতক আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং আটক মো. আলীকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়া টেকনাফের হ্নীলা নাফ নদীর তীরে মাছ ধরার নৌকা থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। আজ ভোরে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাংয়ের ১ স্লুইচ গেট পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আজ সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ ২-বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আছাদুদ-জামান চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং ১ নং স্লুইচ গেট এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩টি নৌকায় করে ইয়াবা পাচারের সংবাদ পেয়ে তিনিসহ বিজিবির একটি বিশেষ টিম ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় মাছ ধরার একটি নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে জালের নিচ থেকে পলিথিন মোড়ানো ব্যাগ থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।
উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে, যা পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
বিডি প্রতিদিন