তিন রেলস্টেশন বন্ধ দুর্ভোগে লাখো মানুষ

0
206
Print Friendly, PDF & Email

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার টিলাগাঁও, ভাটেরা ও মনু রেলস্টেশন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ সব এলাকার লাখ লাখ ট্রেন যাত্রী। যোগাযোগ সংকটের পাশাপাশি ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। রেলওয়ে সূত্র জানায়, লোকবলের অভাবে ২০০৯ সালে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়ার টিলাগাঁও ও ভাটেরা এবং ২০১৬ সালে মনু স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এ তিন স্টেশন দিয়ে লোকাল ও মেইল ট্রেনে কুলাউড়ার রাউতগাঁও, হাজীপুর, শরিফপুর, বরমচাল, ভাটেরা এবং রাজনগর উপজেলার কামারচাক ই্উনিয়নের লোকজন কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ উপজেলা সদর ও সিলেটে যাতায়াত করতেন। এছাড়া এক সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে এ স্টেশনগুলো ব্যবহার করতেন। স্টেশন তিনটি চালুর জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, এক সময়ের ব্যস্ত এ সব স্টেশনে কার্যক্রম না থাকায় এখন ফাঁকা পড়ে আছে। তালা ঝুলছে দরজায়। কোথাও কোলাহল নেই। নেই কোনো ব্যস্ততা। ভাটেরা স্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হাসান শিপন বলেন, প্রায় দশ বছর থেকে স্টেশনটি বন্ধ। আগে এই স্টেশনে লোকাল মেইল, জালালাবাদ, কুশিয়ারা ও কমিউটার (ডেমু) ট্রেন থামতো। আমরা ট্রেনে যাতায়াত করতাম। হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, মনু একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া এই স্টেশনটি বন্ধ করার মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যে যেমন ছেদ পড়েছে তেমনি সীমান্তবর্তী এই এলাকার মানুষ ব্যবসায়িক ও যোগাযোগ সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। টিলাগাঁও রেলস্টেশন চালুর দাবিতে গড়ে ওঠা সংগঠন ঐক্যবদ্ধ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, রেলস্টেশনে আশপাশের শতাধিক ছোট ব্যবসায়ী পড়েছেন বিপাকে। কারণ স্টেশনটি বন্ধ হওয়ার পর থেকে বেচাকেনা হচ্ছে না। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। অন্য গণপরিবহনের তুলনায় ট্রেনে যাতায়াত ভাড়া কম থাকায় মানুষ সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘লোকবলের অভাবে স্টেশনগুলো বন্ধ হয়। স্টেশন মাস্টার, বুকিং সহকারী ও পয়েন্টম্যানের অভাবে বন্ধ রয়েছে। আশা করছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান নিয়োগ দিয়ে স্টেশনগুলো আবার চালু করবে।

শেয়ার করুন