বাজার থেকে গরুর মাংস কিনে ধরা খান নাই এমন ক্রেতা বিরল। গরুর মাংস কেনার অভিজ্ঞতা না থাকলে আসলেই চেনা মুশকিল| রান্নার সময় সহজেই বোঝা যায় এটি আসল গরুর মাংস কিনা| তবে মহিষের মাংস গরুর মাংসের তুলনায় অনেক বেশি তকতকে লাল আর ঘন আশ যুক্ত হয়ে থাকে| আমরা যারা নিয়মিত মাংস কিনি তারা দেখেই চিনতে পারি। কিন্তু তারপরও বেশিরভাগ মাংসের দোকানে বিক্রেতারা (কসাই) মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে চালিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি রবিউল আলম আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বেশিরভাগ ক্রেতা গরু মহিষের পার্থক্য বুঝে না। যদি বিক্রেতারা বুঝতে পারে ক্রেতা ভালো মাংস চিনে না। সেটার সুযোগ নিয়ে বিক্রেতা খারাপ মাংস দেয়।
মাংস চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে রবিউল আলম বলেন, গরুর মাংস চেনার উপায় মাংস হালকা লাল হয়। মাংসের আশ চিকন হয়ে থাকে। গরুর চর্বির রং হয় ঘোলাটে হলুদ। আর মহিষের মাংস টকটকে কালচে লাল হয় আশ মোটা হয়ে থাকে। মহিষের চর্বির রং হয় সাদা।
কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ী জব্বার খান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পনের বছর ধরে মহিষের মাংস বিক্রি করছি। দিনে দিনে এর চাহিদা বাড়ছে। এসব দোকানে গরুর পাশাপাশি মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে। মহিষের মাংসের ক্রেতাদের বেশির ভাগই রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে কালো ভুনা তৈরি হয় মহিষের মাংস দিয়ে। গরুর মাংস বেশি সময় ধরে জ্বাল (গরম) দিলে গলে যায়, কিন্তু মহিষের মাংস তুলনামূলক বেশি জ্বাল সইতে পারে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পশু ডাক্তার আজমত আলী আরটিভি অনলাইনকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট জায়গায় গরু জবাই করার পর সেখানে মাংস পরীক্ষা করে সিটি কর্পোরেশনের সিল দেওয়া হয়। তবে ঢাকায় বেশ কিছু বাজারে ভালো গরুর মাংস পাওয়া যায়।
বাজারে ভালো গরুর মাংস চেনার উপায় সম্পর্কে তিনি বলেন, গরুর মাংস লালচে হয় । ষাঁড়ের মাংস একটু কালচে ধরনের হয়। গরুর মাংসের মাঝখানে থাকা রেওয়াজ (চর্বি সদৃশের ) ভিন্নতা রয়েছে। যেমন: ষাঁড়ের রেওয়াজ সাদা, গাভীর রেওয়াজ হলুদ, আবার মহিষের রেওয়াজও হয় সাদা। আসল গুরুর মাংসে এই রেওয়াজ বা চর্বি সদৃশ বেশি থাকে। গুরুর মাংসে আঁশ কম থাকে। অন্যদিকে মহিষের মাংসে আঁশ বেশি থাকে। গরুর মাংসের তুলনায় খাসি ও ভেড়ার মাংসের গন্ধ আলাদা হয়। ভেড়ার মাংসে মহিষের মতই চর্বি কম থাকে কিন্তু গন্ধ হয় উৎকট। গরু মহিষ দুই মাংসের মধ্যে এলার্জি আছে।