শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে দেশ স্থবির করে দিয়েছিল মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত দুর্বল চিত্তের লোক দিয়ে কী চলে? আন্দোলন বলতে যা বোঝায় তা তো ওরা করতেই পারেনি। আন্দোলন মানে রোদে পুড়বে, বৃষ্টিতে ভিজবে। এমন তো কিছু ঘটেনি। : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুক সমস্যা করেছে মন্ত্রীদের এমন কথায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলেই ফেসবুক একটা সমস্যাই। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-তে সর্বোচ্চ ৫ বছরের পরিবর্তে ৭ বছরের সাজা রাখার প্রস্তাব করেছিলেন মন্ত্রীরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন মন্ত্রণালয় যখন একটা সুপারিশ করে পাঠিয়েছে তখন ৫ বছরই থাকুক। অনেক কিছু ঘেঁটেই তারা আইনটি করেছে। নতুন আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা না থাকায় ‘মোবাইল কোর্ট’ রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। : সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মুজদারের বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতে মার্শা বার্নিকাটের উপস্থিতি এবং পরে তার গাড়িতে হামলার বিষয়টি কয়েকজন মন্ত্রী তুলেছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। : বৈঠকে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম জানান, বিআরটিএতে রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অধিক। কিন্তু লাইসেন্সের সংখ্যা কম। তখন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এডিবির সঙ্গে আমরা একটা চুক্তি করেছি। তারা দক্ষ এক লাখ গাড়ি চালক তৈরিতে সহায়তা দেবে। বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো কথাই বলেননি নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। তবে সড়ক দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে এত রুট। কোনো রুটে ওয়েট মেশিন নেই। শুধু আমার ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মেশিন বসানে হয়েছে। এর কারণ কী? জানতে চাইলে জবাবে সড়ক বিভাগের সচিব বলেন, দেশের আরও ৪০টি হাইওয়েতে ওয়েট মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের কোথাও আজ ছাত্ররা রাস্তায় নামেনি। রামপুরায় নেমেছে বলে শুনেছি।দিনকাল রিপোর্ট