ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবিওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবিআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলছেন, ‘উসকানির ফাঁদে পা দিয়ো না।’ আজ শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা দলীয় নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ এবং সতর্কতার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করারও আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করছি।’ একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের রাজপথ থেকে ঘরে ও নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নেওয়ারও অনুরোধ জানান তিনি।
সাবেক ছাত্রনেতা কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর বিষয়ে মনিটরিং করছেন এবং আগামী সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে নতুন আইনের খসড়া চূড়ান্ত করে আগামী সংসদ অধিবেশনে তা পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে বিএনপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তি ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করে আন্দোলনকে উসকে দিতে চায়। রাজনৈতিক অশুভ তৎপরতার মাধ্যমে যাতে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে অশ্লীল ভাষায় যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়, তা শোভনীয় নয়। কোনো অশুভ মহল হয়তো তাদের ওপর ভর করছে। কোথা থেকে খাবার এসেছে, কারা খাবার সরবরাহ করছে, তা আমাদের জানা আছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯ দফা যৌক্তিক দাবি ইতিমধ্যে মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি অনুধাবন করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, রাস্তায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় জনগণের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি শিগগিরই এই দুর্ভোগের অবসান হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান সামনে রেখে কেউ যাতে চাঁদাবাজি না করতে পারে, তার জন্য সব নেতা–কর্মীর প্রতি সজাগ ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত সভায় মহানগরের অন্তর্গত দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সব থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব–উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আখতারুউজ্জামান, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।