‘সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে’ তিন মহানগরে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে বাঁধভাঙা স্রোতের মতো ভোট পাওয়ার আশা করছেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী।
রাজশাহী, বরিশাল আর খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের প্রচারের শেষ দিনে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর পর থেকে টানা অভিযোগ করে আসা বিএনপি নেতা আজও পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযানের অভিযোগ আনেন। তবে কয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই সংখ্যাটি বলেননি তিনি।
আগামী সোমবার তিন মহানগর ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আজ মধ্যরাতে প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পর রবিবার ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হবে ভোটের সরঞ্জাম। আর সোমবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে।
রিজভী বলেন, ‘যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতো ভোটা পড়বে ধানের শীষে।’
অবশ্য এই ‘সুষ্ঠু পরিবেশ নেই’- সেটা জানাতেই সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘সরকারের নির্দেশে তিন সিটি করপোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন।’
‘৩০ জুলাই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন মহল একটা ধূলিঝড়ের সৃষ্টি করে ভোট সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির নতুন নতুন মডেল আবিষ্কার করে যাচ্ছে।’
রিজভীর অভিযোগ, ‘বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী, সমর্থক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
‘সরকার খুলনা-গাজীপুর নির্বাচনের মতোই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের ভোটার ও পোলিং এজেন্টশূন্য করার এক অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছে। সরকারের নির্দেশে তিন সিটি করপোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন।’
‘এই তিন সিটিতে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে আগ্রাসী অভিযান চালাচ্ছে।’
‘বিরোধী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের তালিকা ধরে গ্রেপ্তার অব্যাহত আছে। পুলিশি হয়রানিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নেতাকর্মীদের পরিবার।’
নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘হাতের মুঠোয়’ অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তিন সিটিতে তফসিল ঘোষণার পর বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেপ্তার না করার প্রজ্ঞাপন জারির উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে সেই উদ্যোগ থেকে সরে আসে কমিশন।’
‘গ্রেপ্তারের পর বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের অবস্থানও জানানো হয় না’ বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
রাজশাহীতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি সেখানে নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট কারচুপির আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলেও দাবি করেন রিজভী। বলেন, ‘প্রায় ৯০ শতাংশ আওয়ামী সমর্থিত লোকদের পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’
ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই