একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। কাদের সিদ্দিকী ওবায়দুল কাদেরকে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক দলের নেতৃত্বে যে জোট রয়েছে তিনি সেখানেই যোগ দেবেন।’ এ বিষয়ে আগামীতে আরও আলোচনা করা হবে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ বৈঠক হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ বিষয়ে এ মুহূর্তে আমার কিছু বলার নাই। আপনি ওনার (ওবায়দুল কাদের) সঙ্গে কথা বলুন।’
কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকের পর সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা। নাজমুল হুদা ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে আধা ঘণ্টা বৈঠক হয়। সেখানেও জোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, দুই নেতার সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের পৃথক দুই বৈঠকে সমকালীন রাজনীতি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সম্ভাব্য রাজনৈতিক মেরুকরণ সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে কাদের সিদ্দিকী ও নাজমুল হুদা পৃথক সাক্ষাৎ করেছেন।’ তবে সেখানে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটি তিনি জানেন না।
সম্প্রতি নাজমুল হুদা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তার আগ্রহের বিষয়টি আওয়ামী লীগের বিবেচনাধীন আছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে তার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেন ওবায়দুল কাদের।
পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। এখানে রাজনীতির কোনও অঙ্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাসদের খালেকুজ্জামানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আমি ফোনে কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনি সোমবার আমাকে কল করেছিলেন, কিন্তু খেয়াল করতে পারিনি। পরে আজ তাকে কল করে কথা বলেছি।’