কুমিল্লায় যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার বিকালে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ কেএম সামছুল আলম এ আদেশ দেন।
গত সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদন ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে ৮ জন যাত্রী মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ৬জন নেতাকে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার একই আদালত। তবে ওই আদালতে জামিন চেয়ে করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
কুমিল্লার আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বুধবার আদালতে তাঁর জামিনের প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার
আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু জানান, ‘চৌদ্দগ্রামের নাশকতার মামলায় আমরা আদালতে জামিন চেয়েছিলাম। আদালতকে বলেছিলাম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তাঁর ৭৪ বছর বয়স হয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাবেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তাঁকে (খালেদা জিয়া) এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মামলার এজাহারের কোথাও বেগম খালেদা জিয়ার নাম নেই। এছাড়া ৩জন আসামি আদালতে দেওয়া তাদের জবানবন্দীতেও খালেদা জিয়ার নাম বলেননি।
এ মামলার এফআইআরভুক্ত ১৮জন আসামি জামিনে রয়েছেন, কিন্তু আদালত খালেদা জিয়াকে জামিন দেননি। আমরা আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছিলাম, কিন্তু পাইনি। তাই উচ্চ আদালতে যাবো। আশা করি, উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
ইত্তেফাক