‘ডিজিটাল নগর’ উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর, যানজট নিরসন, ছড়া ও খাল উদ্ধার করা হবে বলে ইশতেহারে উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার দুপুরে সিলেটের নির্ভানা ইনে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহার পাঠের সময় তিনি গণমাধ্যমে যৌক্তিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এটিই হতে পারে তার জীবনের শেষ নির্বাচন। এসময় আবেগ আপ্লুত কামরান কান্না চেপে রাখতে পারেননি।
ইশতেহারে কামরান সিলেট নগরীর প্রধান চারটি সমস্যা সম্পর্কে বিশেষ আলোকপাত করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন- যানজট দুর করতে রাস্তা প্রশস্ত করণের পাশাপাশি অবৈধ স্ট্যান্ড সরিয়ে খালি স্থানে নেওয়া হবে। ফুটপাতকে হকারমুক্ত করার পাশাপাশি হকারদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। জলাবদ্ধতা দুর করতে ছড়া ও খাল উদ্ধার এবং সুরমা নদীকে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ ও পানি সংকট দূর করতে পুরাতন ওয়াটার প্লান্টের সংস্কার ও নতুন প্লান্ট স্থাপন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুর রহমান, সদস্য সচিব ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইশতেহার ঘোষণার শেষ পর্যায়ে কামরান আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন- ‘আমি দীর্ঘ দিন আপনাদের নিয়ে কাজ করেছি। কারো কোনো ক্ষতি করেনি। জীবনের শেষ বয়সে এসে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’ কামরানের নির্বাচনী ৩৩ দফার মধ্যে উল্লেখযোগ হচ্ছে- ফুটপাত হকারমুক্ত করা ও উচ্ছেদকৃত হকারদের পুনর্বাসনের জন্য ৪টি হাকার্স মার্কেট প্রতিষ্ঠা, দখল হওয়া ছড়া-খাল উদ্ধার ও খনন করা, সুরমা নদী ড্রেজিং করা, গ্যাস সংযোগ চালুর উদ্যোগ, শতভাগ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আধুনিক নগর পরিবহন ব্যবস্থা ও মহিলাদের জন্য আলাদা পরিবহণ, সৌন্দর্যবর্ধন, বর্তমান কারাগারের জায়গায় আধুনিক নগরপার্ক নির্মাণ, টেমসের আদলে সুরমার দুইপার আধুনিকায়ন, খেলার মাঠ, দিঘী, টিলা সুরক্ষা, অত্যাধুনিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ, খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদন, কারিগরি শিক্ষা ও উন্নত প্রশিক্ষণ, শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও স্বাবলম্বি করে তুলতে উদ্যোগ নেয়া, সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন, প্রবাসীদের হয়রানী রোধে ও বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা, সিলেট নগরকে গ্রীন সিটি হিসাবে গড়ে তোলা, প্রতিটি ওয়ার্ডে আবর্জনা যথাসময়ে অপসারণ করা প্রভৃতি। সিলেটের গ্যাস সংযোগ বন্ধের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহারে তুলে ধরেন কামরান।