দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে তিন কিশোরীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, কাজ দেওয়ার নাম করে কিশোরীদের বাড়ি থেকে ফুঁসলে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনকী, ভাটকল, মেঙ্গালুরু ও বেঙ্গালুরুর নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেয়া হয়েছে । গোপনসূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিন নির্যাতিতাকেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারপর ফাঁদ পেতে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
ধৃতের নাম আবান (৩০)। তবে পুলিশি ফাঁদ বুঝতে পেরে গা-ঢাকা দিয়েছে বাকি চারজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মেঙ্গালুরুতে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এ রিপোর্টে বলা হয়েছে- বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল মাইসুরুর উদয়গিরির এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের তিন বোন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে মাইসুরুর এক এনজিওর মাধ্যমে। ওই এনজিও-তেই মেয়েদের নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিন বোনের মা।
এদিকে কিশোরী নিখোঁজের খবর পেয়েই তদন্ত শুরু করেন এনজিও কর্মীরা। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, প্রতিবেশীরাই তিন বোনকে কাজ দেয়ার লোভ দেখায়। তারপর তাদের প্ররোচনায় কিশোরীদের ফুঁসলে নিয়ে যায় পাঁচজন। দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, মেঙ্গালুরু ও মান্ডিয়ার নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্য চান এনজিওর কর্মীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ নির্যাতিতা বোনেদের সন্ধান পায়। তারপর সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধপল্লি থেকে তিন বোনকেই উদ্ধার করে হোমে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর নির্যাতিতাদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজ দেয়ার নাম করেই তাদের নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক। পরে লাগাতার যৌন নির্যাতনের পর তিনজনকেই নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করে দেয়া হয়।
জেরার ভিত্তিতে নির্যাতিতাদের দিয়েই ফাঁদ পাতে পুলিশ। এদিকে নিষিদ্ধপল্লি থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ফের কিশোরীদের সন্ধানে নেমেছিল পাচারকারিরা। তখনই পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেয় আবান। নির্যাতিতাদের একজন তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আবানকে অনুরোধ করে। আবান ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ