আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ৯ বছর ধরে নাশকতার মাধ্যমে দেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করেও কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। কারণ আন্দোলন আর নাশকতা এক নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা আন্দোলন করে নির্বাচনে যাবে। কিন্তু তারা দেশে সে ধরনের আন্দোলন পরিস্থিতি তৈরী করতে পারেনি। এটাই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার দুপুরে জেলার টঙ্গীতে সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে যানজট নিরসনকল্পে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এক সভায় এ কথা বলেন।
আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর অবস্থান ভালো। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় খায়রুজ্জামান লিটনের অবস্থান অনেক আগে থেকেই ভালো। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আগেই হেরে যাচ্ছে। তাদের কথা ও কাজে। কাদের বলেন, আমাদের ভরা কলসি কেন নড়বে? জেতার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী, সেখানে আমরা কেন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে যাবো ? এটা তারাই করতে পারে যাদের হেরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে কোনো বিষয়কে ইস্যু করার জন্য খুবই ক্রেজি হয়ে উঠেছে। সত্যতা কতটুকু, তথ্য- প্রমাণ কতটুকু, সেটা না জেনে হুট করেই তারা মন্তব্য করলো যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে গয়না লুট হয়ে গেছে, সোনা লুট হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো স্বর্ণ গায়েবের মতো ঘটনা ঘটেনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের আরো বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের সহায়তা নেওয়া হবে এবং গাজীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
মহাসড়কের পাশে পশুর হাট বসানো যাবে না। ঈদের ১০ দিন আগে থেকে বিআরটিএ’র র্যাপিড ট্র্যানজিট প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র এডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপদের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর সবুর, ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুর রহমান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ প্রমুখ।