চলমান বিক্ষোভ দমনে গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ছয় শতাধিক। নিহতদের মধ্যে এক কিশোরও রয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে দুই মাস ধরে চলমান বিক্ষোভের জেরে গাজা সীমান্তে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু থেকেই গুলি চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। মার্চের ৩০ তারিখে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে ইসরায়েলের গুলিতে কমপক্ষে ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তিন হাজার ৮০০ জন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তসহ অন্তত পাঁচটি স্থানে জড়ো হয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নেয়।
শুক্রবার গাজার প্রতিবাদস্থল থেকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয় একং সীমান্তে গ্রেনেড হামলা হয়। শত শত ঘুড়ি ও হিলিয়াম বেলুনে করে উড়ে আসে মলোটোভ ককটেল।
সীমান্তে এতো ফিলিস্তিনির মৃত্যু প্রসঙ্গে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলছে, এর সবই তারা করছে নিজেদের সীমান্ত রক্ষায় এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে।
গতকালের হামলার ঘটনা ইসলামপন্থী জঙ্গি বা মিলিশিয়া বাহিনী হামাসের জন্য ভীষণ হতাশাজনক ছিল। কারণ হামাসের আহ্বানেই মুসলমানদের জন্য পবিত্র হিসেবে চিহ্ণিত রমজান মাসে লাখ লাখ মানুষ শুক্রবারের এই প্রতিবাদে শামিল হয়। ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে চিহ্ণিত ছয়দিনের যুদ্ধের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়।