আসামে হাতি নিয়ে আতঙ্ক, গ্রামবাসী নাম দিয়েছে ‘লাদেন’

0
193
Print Friendly, PDF & Email

লাদেন’কে ধরতেই হবে। মন্ত্রী মশাইয়ের নির্দেশ। কিন্তু লাদেন যে অধরা। আছে শুধু তার নিত্যনতুন হামলার চিহ্ন। অতর্কিতে হানা দিয়ে ফের গায়েব হয়ে যাচ্ছে লাদেন। ‘পাইক-বরকন্দাজ’ নিয়ে কাজ না হওয়ায় ‘লাদেন’কে ধরতে এবার বিশেষজ্ঞদের তলব করল ভারতের আসাম সরকার।

‘লাদেন-রহস্য’ জানতে আজ শনিবার প্রথম আলো মুঠোফোনে আসামের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শিলচর থেকে মুঠোফোনে তিনি জানান, ‘লাদেন’ আসলে একটি বুনো পুরুষ হাতি। হাতিটির অতর্কিত হামলায় গ্রামবাসী আতঙ্কে থাকে। গ্রামবাসীই হাতিটির নাম দিয়েছে ‘লাদেন’। হাতিটিকে ধরতে বিশেষজ্ঞ বাহিনী আনা হচ্ছে।

বনমন্ত্রী জানান, আসামের মেঘালয় সীমান্তবর্তী গোয়ালপাড়া জেলায় পাঁচ মাস ধরে পাহাড় থেকে নেমে গ্রামবাসীকে অতিষ্ঠ করে বেড়াচ্ছে হাতিটি। ইতিমধ্যে হাতিটির আক্রমণে পাঁচজন মারা গেছেন। বহু জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। দরিদ্র মানুষের বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে। পাহাড় থেকে এসে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ফের পাহাড়ি জঙ্গলে ফিরে যাচ্ছে হাতিটি।

মন্ত্রী জানান, হাতিটিকে ঠেকাতে এবার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এ যাচ্ছে আসাম সরকার। রাজ্যের দুই হস্তী বিশেষজ্ঞ কুশল কুমার শর্মা ও কৌশিক বড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরামর্শ নিয়ে হাতিটিকে জীবিত ধরার চেষ্টা করবে বন দপ্তর।

কিন্তু যতক্ষণ ‘লাদেন’ ধরা না পড়ছে, ততক্ষণ কী হবে? মন্ত্রী জানালেন, গোয়ালপাড়ায় জারি থাকছে বিশেষ সতর্কবার্তা। গ্রামবাসীকে স্পর্শকাতর এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আসামের ৫৬টির মধ্যে মেঘালয় সীমান্তবর্তী গোয়ালপাড়াতেই রয়েছে ৪৭টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। ফসল পাকলেই হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু দলছুট এই দাঁতাল হাতি রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে সেখানে।

শেয়ার করুন