আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন কোটা বাতিলের গেজেট প্রকাশের জন্য আন্দোলনের হুমকি সমীচীন নয়। শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবির ব্যাপারে সরকার সহানুভূতিশীল। যৌক্তিক সমাধানের সব রকম চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরতে হবে। অনতিবিলম্বে তারা সমাধান পেয়ে যাবেন।
কোটা নিয়ে আন্দোলন করা, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা ঠিক না। এমনিতে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আশা করি তারা (আন্দোলনকারীরা) ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন। পড়াশোনায় ফিরে যাবেন। কোটা নিয়ে আন্দোলন বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানে যদি কেউ রাজনীতি করতে চান, তাহলে ভিন্ন কথা। প্রধানমন্ত্রীর মুখের কথায় আস্থা রাখা উচিত। বিশ্বাস করা উচিত। তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কোটার বিষয়টি ফয়সালা করে দিয়েছেন। কোটা থাকবে না। এরপর কখন গেজেট হবে, হলো কি হলো না, এটি নিয়ে চিন্তাভাবনাও আছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আছে, প্রতিবন্ধী আছে, অনুন্নত জেলা আছে, মুক্তিযোদ্ধা আছে, নারী আছে। তাই এখানে সুসমন্বিত কিছু করার একটি চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এর আগে গত ৯ই এপ্রিল ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে কোটা সংস্কার আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আন্দোলনকারীদের কাছে ৭ই মে পর্যন্ত সময় নেন মন্ত্রী। এরপর আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক কমিটি আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় ১০ই এপ্রিল। কিন্তু এরপরও আন্দোলনকারীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যায়। পরে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরাও আন্দোলনে ফিরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ই এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারির দাবি করে আসছেন।
নালিশ করা বিএনপির অভ্যাসে পরিণত হয়েছে
এদিকে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি জানা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তিনি জেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়া অসুস্থ, তার সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজনদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না, বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে জেনে নেবো। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল নিজেদের অনুকূলে না আসা পর্যন্ত বিএনপি নালিশ করতেই থাকবে। গত ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও তারা একের পর এক নালিশ ও অভিযোগ করেছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে, ওই নির্বাচনে তারাই জিতেছে। তিনি বলেন, নালিশ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নয়াপল্টনে এ কাজের জন্য একজনকে স্থায়ীভাবেই নিয়োগ দিয়ে রেখেছে বিএনপি।