পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকচাপায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন হাটহাজারী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এক এইসএসসি পরীক্ষার্থী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
নিহত হৃদয় দাশ (১৯) উপজেলার গুমামর্দ্দন ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার কুল এলাকার পশ্চিম দাশ পাড়ার দিনমজুর পলাশ দাশের বড় ছেলে।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের সরকার হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তবে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে হৃদয় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে নিহত পরীক্ষার্থী হৃদয় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে নাজিরহাট কলেজের যান। যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিকালে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে সিএনজি অটোরিকশাযোগে রওনা দেন। এ সময় সিএনজি অটোরিকশায় তার সঙ্গে কয়েকজন সহপাঠীও ছিল।
বিকাল ৩টা নাগাদ তারা সিএনজি অটোরিকশাটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের সরকার হাট এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রতগামী আকটি ট্রাক সিএনটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী মেডিকেল অফিসার মাসুদ জানান, আহত দুই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মধ্যে হৃদয়ের উরু থেঁতলে গেছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে সোহেল নামে অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান হৃদয়। হাটহাজারী কলেজের অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দিন মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, আমার কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হৃদয়ের এ অকালমৃত্যু আমি ও আমার কলেজের শিক্ষক পরিবার এবং তার সহপাঠীরা মেনে নিতে পারছে না।
ঘাতক ট্রাক শুধু তার তরতাজা প্রাণ কেড়ে নেয়নি, একটি হতদরিদ্র পরিবারের রঙিন স্বপ্নকে ভেঙেচুড়ে ছারখার করে দিয়েছে।
এদিকে হৃদয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তার সহপাঠী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।