রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার সকালে তার সন্ধানের দাবিতে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার পর গভীর রাত পর্যন্ত অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার কোনো খোঁজ না পেয়ে স্বজনরা থানায় জিডি করেন।
তার স্ত্রী দীপা ভৌমিক জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে কাজের কথা বলে তার স্বামী পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে একটি লাল মোটরসাইকেলে করে বাড়ির বাইরে যান।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবেন বলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না।
নিখোঁজ আইনজীবীর ছোট ভাই সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিক জানান, তিনি জরুরি কাজে শুক্রবার ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাবস্থায় ভাইয়ের নিখোঁজ হওয়ার খবর পান। এর পর শুক্রবার রাতেই ঢাকা থেকে বিষয়টি ফোনে রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে জানান।
জানা গেছে, সরকারি আইনজীবী (পিপি) রথিশ চন্দ্র ভৌমিক রংপুর বিশেষ জজ আদালতে সরকার পক্ষে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলা পরিচালনা করছিলেন। এ দুই মামলায় সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট বাবু সোনা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রংপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত স্বজন-সহকর্মীসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে তার খোঁজ করেন।
কিন্তু শনিবার সকাল পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান না পাওয়ায় ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাডভোকেট বাবু সোনা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানার পর থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নেমেছে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া বলেন, নিখোঁজ আইনজীবীর জঙ্গিদের মামলা পরিচালনার বিষয়টিসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় নিয়ে আমরা কাজ করছি। তার মোবাইল ফোনটিও ট্রাকিং করে দেখা হচ্ছে।
এ ছাড়া অ্যাডভোকেট বাবু সোনাকে উদ্ধারে পুলিশ, র্যাব ও পিবিআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলে জানান ওসি।