ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯০-এর দশকে মডেলিংয়ের কাজ করেছিলেন তখন যদি তার স্বামী ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকতেন তাহলে তার নতুন অভিবাসন নীতির অধীনে মেলানিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়া থাকতো অগ্রাধিকারে। এমন মন্তব্য করেছেন অভিবাসন বিষয়ক কয়েকজন এটর্নি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে মেলানিয়া ছিলেন কèাউস নামে পরিচিত। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন পরিদর্শক, পর্যবেক্ষক ভিসায়। কিন্তু ওই সময়ে তিনি অভিবাসন নীতি লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করে পারিশ্রমিক নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপি এমন কিছু ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছে। তাতে দেখা যায়, বর্তমান ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি পাওয়ার সাত সপ্তাহ আগে কাজ করে ২০ হাজার ডলার আয় করেছেন। তিনি ২০০১ সালে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেন। অতীতের কোনো তথ্য প্রকাশ না করে তিনি ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। এখন দেখা যাচ্ছে, গত মাসে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যে নতুন অভিবাসন বিষয়ক নীতি গ্রহণ করেছেন তাতে এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা কোন্ বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবেন সে বিষয়ে এতে তথ্য রয়েছে। বলা হয়েছে, যদি কোনো বিদেশি নাগরিক প্রতারণার আশ্রয় নেন বা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে সরকারি বিষয়ের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করেন অথবা সরকারি সংস্থার কাছে আবেদন করে থাকেন তাহলে তাদেরকে প্রত্যাহারের বিষয়টি অগ্রাধিকারে নিতে হবে। অভিবাসন বিষয়ক দু’জন আইনজীবী অনলাইন স্লেট’কে বলেছেন, এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন মেলানিয়া ট্রাম্প। তিনি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তিনি ভবিষ্যৎ ভ্রমণ ও আবাসিক সুবিধার জন্য আবেদন করার সময় ওইসব হঠকারিতা প্রকাশ করেননি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানুয়ারিতে অভিবাসন বিষয়ক যে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন তার অধীনে মেলানিয়া ট্রাম্প ডিপোর্টেশনের বা দেশ থেকে বের করে দেয়ার মুখে পড়তেন। লিগ্যাল এইড সোসাইটির অভিবাসন আইন বিষয়ক ইউনিটের ডেপুটি এটর্নি ইনচার্জ হাসান শফিকুল্লাহ বলেছেন, ট্রাম্প যদি ১৯৯০-এর দশকে মেলানিয়ার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ক্ষমতায় থাকতেন তাহলে ঝুঁকিতে পড়তেন মেলানিয়া। তার এ মন্তব্যে সায় দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির অভিবাসন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চেরিল ডেভিড।