পিলখানায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের দিনকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।
বিএনপির নেতা রিজভী বলেন, পূর্বপরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে অনেকের সাজা হয়েছে। আবার অনেকে অধরা রয়ে গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের অনেকের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও সেগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি এখনো রহস্যের কুয়াশায় ঢাকা। একটি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রতীক সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্রান্ত থাকতে পারে।
গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন, কেবল সীমাহীন লুটপাটের জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির খরচ পড়বে সাধারণ মানুষের ঘাড়ে। আর এর প্রভাব পড়বে অন্য সেক্টরে। তিনি দাবি করেন, এই সরকার জনগণকে ত্যাজ্য করেছে। তিনি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ চলাকালে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। বিচার হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠসংলগ্ন অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকা মহানগর তৃতীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিডিআরের সাবেক ডিএডি তৌহিদসহ ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক সাংসদ নাসিরউদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু (প্রয়াত), স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২৭৭ জনকে খালাস দেওয়া হয়।