ছোটবেলা থেকে নৃত্যের সঙ্গে বেড়ে ওঠা তার। এরপর অভিনয়ে নাম লেখানো। দুই মাধ্যমে ছুটে চলা। কিন্তু আজকাল নাচের চেয়ে অভিনয়েই বেশি ব্যস্ত। সঙ্গে সংসার নামক ব্যস্ততা তো আছেই। কথাগুলো বলা হচ্ছে জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী নাদিয়াকে নিয়ে। যদিও অভিনয়ে বেশি ঝুঁকেছেন। তবুও নাচের প্রতি অন্যরকম এক অনুভূতি বরাবরই কাজ করে তার। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ যখনই কোনো নাচের শো-র ডাক পড়ে ছুটে যান সেখানে। গত দু’মাসে এমনই ব্যস্ত ছিলেন নাদিয়া। অভিনয়ের পাশাপাশি দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন নাচের শো নিয়ে। কিন্তু দিনশেষে একটা কথা বলতেই হয়। আগের মতো নাচের জন্য সেভাবে সময় বের করতে পারেন না এ পর্দাকন্যা। তবুও অগাধ ভালোবাসা থেকে মাসে অন্তত একদিন হলেও তার ও লিখনের হাত ধরে গড়ে ওঠা ‘নৃত্যকথা’ নামের নাচের স্কুলটিতে যান। সেখানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে আসেন নাদিয়া। তিনি বলেন, কিছুটা দায়বদ্ধতা আর নাচের প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই ছুটে যাই সেখানে। কেউ কেউ বলেন, আমি তাদের চোখে তারকা, তাই তারা আমার সঙ্গে নাচে অংশ নিতে এত আগ্রহী। আমার কাছে কিন্তু তা মনে হয় না। কারণ আমি আমার ছাত্রছাত্রীর চোখে-মুখে ভালোবাসার ছায়াটাই শুধু দেখি। ব্যস্ততার কারণে সময় হয়ে ওঠে না নাদিয়ার। কারো সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলবেন তাও পারেন না অনেক সময়। সকালে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে শুটিং স্পটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়া। এরপর সারা দিন কাটে লাইট, ক্যামেরা আর অ্যাকশনের মাঝে। এ মুহূর্তে একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন এ অভিনেত্রী। এসব নাটকের মধ্যে রয়েছে, আবুল হায়াতের পরিচালনায় ‘তিন পাগলের হলো মেলা’, সকাল আহমেদের ‘বাবুই পাখির বাসা’, এস এ হক অলীকের পরিচালনায় ‘আয়না ঘর’, আল হাজেনের ‘লড়াই’, ‘আবু হায়াত মাহমুদের ‘বৃষ্টিদের বাড়ি’, অঞ্জন আইচের ‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে’ প্রভৃতি। এছাড়া এনটিভিতে ‘সংসার’ ও দেশটিভিতে ‘উৎসব’ ধারাবাহিক দুটিতে অভিনয় করছেন নাদিয়া। ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাতে এতগুলো নাটক। এগুলোর শুটিংয়ে সপ্তাহের প্রতিটি দিনই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আলাদা করে নিজের জন্য সময় পাচ্ছি না। বিশেষত অনেকের ফোন রিসিভ করতে পারি না। তবে এ ব্যস্ততাকে উপভোগ করছি। কাজের মাঝে থাকলে ভালোই লাগে। ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করলেও খণ্ড নাটকে খুব একটা কাজ করছেন না নাদিয়া। দীর্ঘদিন ধরে নাটকে অভিনয় করছেন এ তারকা। বর্তমান সময়ের নাটক নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক শোনা যায় প্রায়ই। নাটকের মান ভালো হচ্ছে না বলে দর্শক বিদেশি চ্যানেলমুখী হচ্ছেন দিন দিন। এ বিষয়ে নাদিয়ার মন্তব্য কি জানতে চাইলে বলেন, চ্যানেল সংখ্যা বেড়েছে। কাজের পরিমাণ বেড়েছে সে সঙ্গে। কাজের মান নিয়ে তো সেক্ষেত্রে প্রশ্ন আসবেই। ভালো নাটক যেমন আছে, খারাপ কাজও হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্য দিয়েই চলছে। তবে একটু অস্থিরতার মধ্যে যাচ্ছে বলে মনে করি আমি। অস্থিরতা বলতে বলবো এই কারণে যে, অনেক প্রকৃত শিল্পীর কাজ কমে যাচ্ছে। যোগ্য লোকের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে না। যে কারণে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর অনেক সময় শিল্পী নির্বাচনের জন্য নির্মাতার পরিবর্তে এজেন্সি কিংবা চ্যানেলের একটা প্রভাব থাকে।