আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) টেস্ট মর্যাদা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংস্থাটি। টেস্টের ‘পূর্ণ স্থায়ী সদস্য’ বলে কোনো দেশ ভবিষ্যতে থাকবে না। সম্প্রতি দুবাইয়ে আইসিসি’র নির্বাহি কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’। তারা জানিয়েছে, পাঁচ বছর অন্তর টেস্টের পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর নৈপুণ্য মূল্যায়ন করা হবে। অন্যদিকে টেস্ট মর্যাদা না পাওয়া সহযোগী সদস্য দেশগুলোর দুই বছর অন্তর নৈপুণ্য মূল্যায়ন করা হবে। দুই মূল্যায়নের ফলে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের নৈপূণ্য হতাশাজনক হলে তাদের টেস্ট মর্যাদা বাদ হতে পারে। একই সঙ্গে সহযোগী দেশের কেউ ভাল নৈপূণ্য দেখালে তারা পেতে পারে টেস্ট খেলার সুযোগ। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে জবাবদিহি সৃষ্টির লক্ষ্যে এই নিয়ম হতে যাচ্ছে। এতে পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়া দেশগুলোর ভাল করার তাগিদ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে টেস্ট খেলুড়ে নয় এমন দেশগুলো ভাল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। এতে সামগ্রিকভাবে ক্রিকেক হয়ে উঠবে আরো আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। টেস্ট খেরার সুযোগ তৈরি হবে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো সম্ভাবনাময় দলের। আইসিসি’র টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলগুলোর এতদিন মর্যাদা হারানোর কোনো ভয় ছিল না। একবার টেস্ট মর্যাদা পেলেই সেটা থাকতো স্থায়ী। কিন্তু এবার সে ভয় চলে এসেছে। বিশেষকরে নিচের সারির দলগুলোর মধ্যে। মর্যাদা হারানোর ভয়ে থাকবে জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের মতো দলগুলো। সর্বশেষ ২০০০ সালে আইসিসি’র টেস্ট মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। এরপর ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো দেশকে টেস্ট মর্যাদা দেয়া হয়নি।