আপনি আমিষাশী হোন বা নিরামিষাশী। আপনার শরীরের জন্য প্রোটিন মাস্ট। প্রোটিন না পেলে শরীরের অবস্থা অবশ্যই খারাপ হতে বাধ্য। কম দামেই সেই প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে হলে ২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে একবাটি মটরশুঁটি খেতে পারেন।
আমাদের শরীরে প্রতিদিন প্রচুর প্রোটিন দরকার হয়। মাছ, মাংসে প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। কিন্তু আপনি যদি নিরামিষাশী হন বা রোজ মাছ, মাংস কেনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে মাছ বা মাংসের বদলে প্রতিদিন একবাটি মটরশুঁটি খেতে পারেন।
চিকিত্সকরা বলছেন, রোজ ২ পিস মাছ বা ৩ পিস মাংসের বদলে একবাটি মটরশুঁটি অনেক বেশি পুষ্টিকর। এদিকে খাবারের স্বাদ বাড়াতেও মটরশুঁটির তুলনা নেই। বিভিন্ন রান্না ও স্যালাডে মটরশুঁটির প্রচুর ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়াও মটরশুঁটি আরও কিছু গুনাগুণের কথা নিচে আলোচনা করা হল-
১। মটরশুঁটিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে পাকস্থলীর ক্যানসার প্রতিরোধ করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। ফলে, বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি ধীরগতির হয়। যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, তাদের সেদ্ধ মটরশুঁটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
২। মটরশুঁটিতে থাকে নিয়াসিন। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তনালির ব্লক প্রতিরোধ করে। মটরশুঁটি তাই ব্লাড প্রেশার কমায়। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
৩। এতে ক্যালোরি কম। তাই ওজন কমাতে সাহায্য করে মটরশুঁটি।
৪। মটরশুঁটিতে রয়েছে ভিটামিন সি। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫। এতে থাকে প্রচুর আয়রন। যা অ্যানিমিয়া ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
৬। প্রোটিন, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুর দেহের বৃদ্ধিতে দারুণ কাজ করে মটরশুঁটি।
এছাড়া অ্যালঝাইমার্স, ব্রঙ্কাইটিস প্রতিরোধেও সাহায্য করে মটরশুঁটি।
৭। মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। যা চোখ ভাল রাখে।
৮। মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন কে। যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ফলে হাড় ভাল থাকে।
৯। এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ফলিক অ্যাসিড। যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।