শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ১৬টি গাড়ি নিয়মবহির্ভূতভাবে হস্তান্তরের অভিযোগ তদন্ত শুরুর পর স্বেচ্ছায় দুটি গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে জমা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর বাকি ১৪টি গাড়ির বিষয়ে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন গোয়েন্দারা। গতকাল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান গাড়ি দুটি বুঝে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এসে টয়োটার একটি আরএভি-ফোর এসইউভি এবং একটি সেডান কার জমা দিয়ে যান। দুটি গাড়ি জমা দেয়ার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো যে, তারা শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করেছেন বলেও জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে জানতে চাইলে ড. মইনুল খান বলেন, গাড়িগুলো আমরা হেফাজতে রেখেছি। এখন আদালতের মাধ্যমে গাড়িগুলোর বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাকি ১৪টি গাড়ির বিষয়ে বিশ্বব্যাংক কী পদক্ষেপ নেয়, সেজন্যও নজরদারি অব্যাহত রাখা হবে।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কানাডার আদালতে ‘মিথ্যা’ প্রমাণিত হওয়ার পর শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের আনা ১৬টি গাড়ির বিষয়ে জানতে চেয়ে গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকে একটি চিঠি পাঠানো হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়, গাড়িগুলো কারা ব্যবহার করতেন, তারা এখন কোথায় আছেন এবং গাড়িগুলোর সর্বশেষ অবস্থা কী। উত্তর দেয়ার জন্য সাতদিন সময় বেঁধে দেয়া হয় বিশ্বব্যাংক, ঢাকা কার্যালয়কে।