রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠোর হবে কিনা, তা জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি। গতকাল বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠকে এমন প্রশ্ন করেন তিনি। এ সময়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ৯ অক্টোবরের পর মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক এ বিশেষ দূত। আজ তিনি কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে যাবেন। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের বিশেষ দূত মিয়ানমার নিয়ে নিজ নিজ অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ’৯০-এর দশকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের যে চ্যালেঞ্জগুলো ছিল, সেগুলোও বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, জাতিসংঘ দূত মূলত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত ঘটনার বিস্তারিত জানতে এসেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি মূলত সৌজন্য সাক্ষাত্ করেছেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশেষ দূত বাংলাদেশের কাছে জানতে চেয়েছেন রোহিঙ্গাদের নিয়ে কোনো কঠিন পদক্ষেপের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা। এছাড়া দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। এ সময়ে বাংলাদেশ জানিয়েছে, ঢাকা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে বিষয়টিতে আরো প্রতিক্রিয়াশীল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমস্যাটির সমাধানেও বাংলাদেশ চেষ্টা করেছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে অবস্থানকালে ইয়াংহি লি কক্সবাজারসহ আশপাশের রোহিঙ্গা বসতি ঘুরে দেখবেন। তিনি রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মিয়ানমারে সংঘটিত ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা নেবেন। এরপর ১৩ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবেন। এর আগে গত ৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।