বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নে মাছের খাবার তৈরীর মেশিন (ফিস ফিড) বিক্রির অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাদের আটক করা হয়। তবে মেশিন বিক্রির হোতা স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নান্টুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, পিকাপ চালক আনিচুর রহমান, মাছের খাবার তৈরীর মেশিন ক্রেতা রাসেলের চাচাতো ভাই রবিউল ও তোফাজ্জেল। এদের সকলের বাড়ী বাবুগঞ্জ উপজেলার নোমরহাট এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা লাল মিয়া জানান, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ফিস’ ২০১৩ সালের এপ্রিলে চরকাউয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মাছের খাবার তৈরীর জন্য একটি মেশিন প্রদান করে। ওই প্রকল্পে মোট ২৫ জন সদস্য রয়েছে। মেশিনটি কয়েক বছর ধরে ইউপি সদস্য নান্টুর বাড়ীর সামনে কাচারী ঘরে রাখা ছিল। প্রকল্পের সদস্যদের না জানিয়ে বাবুগঞ্জের নোমরহাট এলাকার রাসেল নামে এক ব্যক্তির কাছে মেশিনটি পৌঁনে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন নান্টু মেম্বর। গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি পিকাপে মেশিন ভরার সময় স্থানীয়রা পিকাপ চালকসহ তিন জনকে আটক করে। আজ সকালে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় মেশিন বোঝাই পিকাপটিও আটক করে পুলিশ।
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নান্টু বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। তার বিপক্ষের লোকেরা মেশিন বিক্রির নাট সাঁজিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার এসআই আব্দুল মালেক জানান, মেশিনটির কাগজপত্র দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।