রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিতর্কের জের ধরে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর সিএনএন, রয়টার্স, বিবিসির।
সোমবার সকাল পর্যন্ত নিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নানা কারণে বিতর্কিত হোয়াইট হাউজের প্রভাবশালী এই উপদেষ্টা।
তিনি জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থাশীল। তবে বিকালে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসারের বক্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছিল, ফ্লিনের পদত্যাগ সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত ‘পরিস্থিতি যাচাই’ করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জেনারেল ফ্লিনের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্টের (মাইক পেন্স) কী কথা হয়েছে, তা নিয়েও কথা বলছেন তিনি (ট্রাম্প)।’
ওবামা প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য রুশ রাষ্ট্রদূতকে আশ্বাস দিয়েছেন মাইকেল ফ্লিন- এমন অভিযোগ এনে তদন্ত দাবি করেন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা।
মাইকেল ফ্লিনের অন্তত একটি ফোনালাপের প্রমাণ মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে।
ডিফেন্স ইনটেলিজেন্স এজেন্সির সাবেক প্রধান মাইকেল ফ্লিন নির্বাচনী প্রচারণার সময় নিরাপত্তা ইস্যুতে ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, মুসলিমবিদ্বেষসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি বিতর্কিতও। বারাক ওবামার পররাষ্ট্রনীতির প্রকাশ্য বিরোধিতা করতে দেখা গেছে ফ্লিনকে।
২০১৬ সালে ‘দ্য ফিল্ড অব ফাইট: হাউ উই ক্যান উইন দ্য গ্লোবাল ওয়্যার এগেইন্সট র্যাডিকেল ইসলাম অ্যান্ড ইটস অ্যালিজ’ নামের বইটি লেখেন ফ্লিন।
তার সহলেখক ছিলেন রিগ্যান প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল লিডিন। বইয়ে ফ্লিন বলেছিলেন, ‘তথাকথিত রাজনৈতিক শুদ্ধতার পূজারি’ নন তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিতে নিয়মিত হাজির হওয়ার কারণেও ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে ফ্লিনের বিরুদ্ধে।
এছাড়া ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুসলিমবিদ্বেষী টুইট করেন, ‘মুসলিমদের নিয়ে আতংকিত হওয়াটা যৌক্তিক’।