প্রমাণ হয়েছে দুর্নীতি করিনি: পদ্মা সেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী

0
174
Print Friendly, PDF & Email

পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চ্যালেঞ্জ ছিল, প্রমাণ হয়েছে আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি। গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়েও কথা হয়। সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের
অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ ছিল, তারা ব্যর্থ হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি পদ্মা সেতু আরও আগে হতো তাহলে ১-২ শতাংশ ডিজিপি বৃদ্ধি পেত। অনেক আগে সেতুটি নির্মাণ হয়ে যেত। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর একটি বড় অবয়ব দেখতে পেতাম। এই অভিযোগের কারণে সেতুটির কাজ পিছিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা প্রমাণ করেছি, কোনো দুর্নীতি করিনি, এটা মূল কথা।
শফিউল আলম বলেন, বর্তমান
সরকারের অবস্থান ছিল পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল, যদি তারা দুর্নীতির কথা বলে তবে তাদেরই তা প্রমাণ করতে হবে এবং তারা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অনেক উজ্জ্বল হয়েছে, সেজন্য মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি কানাডার একটি আদালত পদ্মা সেতু প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগটি খারিজ করে দেন। দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থ সহায়তা থেকে পিছুটান দেয়। কানাডার আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় সবাই ‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
শফিউল আলম বলেন, এডিবির একটা স্ট্যাডি হচ্ছে-পদ্মা সেতু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। এখন (জিডিপি) ৭ দশমিক ১ শতাংশের আশপাশেই থাকে। যদি পদ্মা সেতু আরও আগে হতো তাহলে প্রতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ করে ৮-৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতো, এটা থেমে গেছে।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে না গেলে ২০১৪ নাগাদ হয়তো পদ্মা সেতুর বড় অবয়ব দেখা যেত জানিয়ে তিনি বলেন, এতদিনে ব্রিজটি বাস্তবে পাওয়া যেত। কিন্তু ওই ঘটনার কারণে উন্নয়নটা অনেক পিছিয়ে গেছে। ২০১৬ সালে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া যেত সেটা পিছিয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাংকের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তত্কালীন মন্ত্রী মামলা করতে চেয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে করতে পারেন, সেটা উনাদের বিষয়।

শেয়ার করুন