পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস, টিআইবি ও বাংলাদেশের কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলল আওয়ামী লীগ। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আ. লীগের প্রচার সম্পাদক ও অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূস, টিআইবি ও বাংলাদেশের কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তাদের এখন জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ ব্যক্তিকে ই-মেইল দিয়েছিলেন। টিআইবিসহ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার আগেই দুর্নীতি হয়েছে তা প্রমাণে ব্যস্ত ছিল। তাদের এ তৎপরতার কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এতে প্রকল্পের কাজ দুই বছর পিছিয়েছে। দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। যদিও এটা সরকারের দায়িত্ব, আমি মনে করি সরকার এটা ভেবে দেখতে পারে।
এই রায়ের পর বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দুদক যখন বলেছিল, এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তখন তারা মানেনি। বলেছে, সরকারের প্রভাবে দুদক এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কানাডার আদালতের রায়ের পরও তারা একই মনোভাব প্রকাশ করেছে। এর অর্থ তারা দেশ ও বিদেশের কোনো আদালতই মানে না। এরা আসলে গ্রাম্য মোড়লদের মতো। নিজেদের বিবেচনার বাইরে যেতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায়-বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, সংস্কৃতি-বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য মারুফা আক্তার পপি উপস্থিত ছিলেন।