নতুন সিইসিকে পদত্যাগের আহবান রিজভীর

0
146
Print Friendly, PDF & Email

নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে `ঝাঁকের কৈ’ অর্থাৎ একই গোত্রের বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের কাছে গণতন্ত্রের কোনো স্থান নেই। তারা নিজেরা জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্যই একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নাটক করছে। এই সরকারের নীতি হচ্ছে এক ব্যক্তির দানবীয় ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া।

রিজভী অবিলম্বে কোনো রাজনৈতিক অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই নতুন সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে পদত্যাগ করে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে সরকারের উদ্দেশে বলেন, অনাচার অবিচার দীর্ঘদিন চলতে পারেনা। আপনাদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করুন।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। ‘নবগঠিত নির্বাচন কমিশন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স, খালেদা ইয়াসমিন, নিপুণ রায় চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির সাহিদুর রহমান তামান্না, মিয়া মো: আনোয়ার, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা শোয়েব আহমেদ, শাহবাগ থানা কৃষকদলের নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। এসময় কাজী মনির উদ্দিন, ইসমাঈল তালুকদার, সর্দার মো: নুরুজ্জামান সহ বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকারের আমলে কাজী রকিব উদ্দিন যে নির্বাচন করেছেন তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক। তার মতোই নতুন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে এটাই মানুষের মাঝে সন্দেহ এবং আলোচনা।
তিনি বলেন, আমরা এতদিতন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সম্মান দেখিয়েছি। কারণ আমরা মনে করি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে কেউ থাকলে তার মাছে ন্যায় বিচার ও সততার উদ্রেক হয়। কিন্তু রাষ্ট্রপতি একজন বিতর্কিত এবং জনতার মঞ্চের লোককে প্রধান নির্বাচন কশিনার নিয়োগ দিয়ে আরো একটি কালিমা লিপ্ত অধ্যায় রচনা করার সুযোগ তৈরি করে দিলেন।
রিজভী বলেন, একজন ব্যক্তি যিনি জনতার মঞ্চের লোক, যিনি কুমিল্লায় ডিসি থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়ার ছবি নামিয়েছেন সেই লোক একজন রাজনৈতিক কর্মীর মতোই আচরণ করছেন। তার ভাই একটি ইউনিয়নের শাসকদলের সভাপতি। তিনি সিইসি হওয়ার পর তাকে সেখানে দলীয় লোকেরা মিষ্টি খাইয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে নতুন সিইসির অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবেনা।
সভাপতির বক্তব্যে আবু নাসের রহমাতুল্লাহ বলেন, সরকার যা করেছে তা নাটক। নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনের নামে সরকার গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুন্ঠিত করেছে। এই সরকারের টার্গেট গণতন্ত্রমনা মানুষগুলোকে ধ্বংস করা। এমতাবস্থায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে না পারলে কেউই রেহাই পাবোনা।

শেয়ার করুন