রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করার জন্য গঠিত সার্চ কমিটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ এবং কোনোভাবেই বিতর্কিত নন এমন ব্যক্তিদের দ্বারা গঠিত হবে, এ স্বাভাবিক ও ন্যায্য প্রত্যাশা করেছিল। ঘোষিত সার্চ কমিটি জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
ফখরুলের অভিযোগ, এই কমিটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের ইচ্ছা পূরণে সহযোগিতা করে পুরস্কৃত এবং আওয়ামী পরিবারের বিশ্বস্ত সদস্যদের অন্তর্ভুক্তি সার্চ কমিটিকে শুধু বিতর্কিতই করেনি এর মাধ্যমে জনমতকে অগ্রাহ্য করার আরেকটি অগণতান্ত্রিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সার্চ কমিটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা প্রার্থীহীন, ভোটারহীন নির্বাচন প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন সরকারের এই স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, সহ-সাংঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সার্চ কমিটি গঠনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে যুক্ত ও প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান হিসাবে আপিল বিভাগের বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ২০১২ সালের গঠিত সার্চ কমিটিরও প্রধান ছিলেন। যে কমিটির প্রস্তাবক্রমে রকিবউদ্দিন কমিশনের মতো একটি অযোগ্য, অনুগত, মেরুদণ্ডহীন ও বিতর্কিত কমিশন নিযুক্ত হয়।
সেই কমিটির প্রধানকেই নতুন সার্চ কমিটিতে প্রধান করার অর্থ হলো সরকার রকিবউদ্দিন কমিশনের মতই আরেকটি অনুগত ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, এই কমিটি সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং এ কমিটির সকল সদস্যরা ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা পূরণে কোনো বাধা নয়।