গাজীপুরে ডিবি পুলিশের ৪ সদস্য প্রত্যাহার

0
169
Print Friendly, PDF & Email

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়া গাজীপুরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল আমিন ফুড কারখানায় অভিযানের অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ৪ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠু শেখ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ কিবরিয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মাহবুব।

গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমির হোসেন জানান, কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়া শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আল আমিন ফুড কারখানায় অভিযানের অভিযোগে ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) গোলাম সবুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আল আমিন মুড়ি মিলের মালিক আবুল কালাম জানান, কয়েকদিন আগে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কয়েক সদস্য তার মিলে মুড়ির সঙ্গে সার মেশানোর অভিযোগ এনে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। অন্যথায় মামলা দিয়ে হয়রানি, ক্রসফায়ার করারও হুমকি দেয়। পরে ২ লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে সাময়িক রক্ষা পাই। পরবর্তীতে আবারও বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

মাওনা-চৌরাস্তা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ওই ঘটনা সকল ব্যবসায়ীদের জানানো হলে তারা সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

২৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা চাঁদার বাকি টাকা নিতে মুড়ির মিলে যায়। এ সময় সকল ব্যবসায়ীকে খবর দিলে তারা এসে কাউকে কোনো প্রকার চাঁদা দেবে না বলে জানায়। তারপর পুলিশের লোকজন কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা পুলিশ ও তাদের সোর্সের ওপর হামলা করে আহত করে।

পরে টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মাহসড়ক অবরোধ করে। একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের মাইক্রোবাস ভাঙচুর ও কারখানার ভিতরে ডিবি পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে ব্যবসায়ীরা।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে রাত ৮টার দিকে যানবাহন চালু হয়।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, গত তিন দিন ধরে তিনি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। ঘটনা জানার পর ওই পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন