প্রতিবেশী মেক্সিকোর ওপর চটেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ব্যাপারে একের পর এক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।
প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অবিলম্বে দেয়াল নির্মাণ শুরুর নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। এরপর মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে।মেক্সিকোও বসে নেই। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণার জের ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিতো যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে মেক্সিকো। ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী দেয়াল নির্মাণের কোনো ব্যয় মেক্সিকো পরিশোধ করবে না বলেও আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
মেক্সিকান অভিবাসীরা বলছেন, ট্রাম্পের ঘোষণার পর তাঁদের নিদ্রাহীন রাত কাটছে—এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
গত বুধবার ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে অবিলম্বে দেয়াল নির্মাণ শুরু করার নির্বাহী আদেশ জারি করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেয়াল নির্মাণের ব্যয় শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো সরকারকেই শোধ করতে হবে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ এবং অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর জন্য মার্কিন কৌশল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেয়াল নির্মাণের ঘোষণার জের ধরেই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট তাঁর যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করেছেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সফর বাতিলের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মাথায় হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, দেয়াল নির্মাণের ব্যয়ভার আদায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেক্সিকো থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ কর আরোপের কথা ভাবছেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সেইন স্পাইসার বলেছেন, ট্রাম্প তাঁর দলের আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কর সংস্কার বিষয়ে একমতে আসার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করা হবে। মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ কর বৃদ্ধি করলে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ব্যয়ভার উঠে আসবে বলে মনে করেন ট্রাম্প।
প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পল রায়ান বলেছেন, ট্রাম্পের চিন্তার সঙ্গে আইনপ্রণেতাদের চিন্তার মিল রয়েছে।
এদিকে সীমান্তে অভিবাসী ঠেকাতে ১৫ হাজার কর্মকর্তা অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এই নিয়োগের অধিকাংশই হবে মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর জন্য।