ছোট বোনের শপথ অনুষ্ঠানে যাননি বড় ভাই!

0
147
Print Friendly, PDF & Email

নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন বাসিন্দাদের সেবক হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সেলিনা হায়াৎ আইভীর বড় ভাই পরিচয়দানকারী শামীম ওসমান ছিলেন না ছোট বোনের এ শপথ অনুষ্ঠানে। এনিয়ে শপথ অনুষ্ঠানের হলরুমে সবারই জিজ্ঞাসা-বড় ভাই আসেননি কেন?
গত ২২ নভেম্বর প্রার্থী জটিলতা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের গণভবনে ডাকেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এদিন শামীম আইভীর দ্বন্দ্ব নিরসন করে দেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বন্দ্ব নিরসনের পর শামীম ওসমান এদিন আইভীকে ছোট বোন সমন্ধন করেন এবং নির্বাচনে বড় ভাই হিসেবে আইভীকে জিতিয়ে আনার দায়িত্বও নেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে বড় ভাইয়ের নিরব ভূমিকা নিয়ে আবারও সমালোচনায় আসেন শামীম ওসমান।নির্বাচনের আগে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে শাস্তি হিসেবে তার কাছে আইসক্রীম খেতে চেয়েছিলেন শামীম ওসমান। সেসময় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি তাকে এই শাস্তি দেব ২২ ডিসেম্বর ভোটে আইভীর জয়ের পর। তবে এই শাস্তি যন্ত্রণাদায়ক হবে না। আমি আইভীর কাছ থেকে সান্ত্বনা স্বরূপ শুধু আইসক্রিম খাবো মাত্র। কিন্তু সে আইসক্রীম এখনও খাননি তিনি। আজ শপথ অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
আইভীর জন্ম ১৯৬৬ সালের ৫ জুন। বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমেদ চুনকা নারায়ণগঞ্জের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। ১৯৯২ সালে রাশিয়ার ওডেসা পিগারভ মেডিকেল ইনস্টিটিউট থেকে ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি) ডিগ্রি নেওয়ার পর মিডফোর্ড হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করার সময় ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত হন আইভী। এরপর ১৯৯৪ সাল থেকে এক বছর নারায়ণগঞ্জের ২০০ শয্যা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পর উচ্চতর পড়াশোনা করতে তিনি চলে যান নিউজিল্যান্ডে।সেখান থেকে ২০০২ সালে ফিরে আসার পরই নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় হন রাজনীতিতে। শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হন।চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি নিয়ে প্রবাস থেকে ফেরার পর ২০০৩ সালে আইভী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।

শেয়ার করুন