পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কগুলিতে হঠাৎ করেই সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েন করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অফিস লাগোয়া এলাকাগুলোতেও। এর প্রতিবাদে রাতভর নিজের দপ্তরে অবস্থান করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলছেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার স্বার্থেই তিনি রাতভর দপ্তরে অবস্থান করছেন। খবর বিবিসির। অন্যদিকে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা জাতীয় মহাসড়কগুলিতে চলাচল করা ভারী যানবাহনের ওপরে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে, যেটা সারা দেশেই তারা নিয়মিত চালিয়ে থাকে। ট্রাক সহ ভারী যানবাহনগুলির আকার, বহনক্ষমতা প্রভৃতির বিস্তারিত তথ্য সেনাবাহিনী যোগাড় করছে বলে এক আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাকে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে নিজের দপ্তরেই অবস্থান করতে দেখা গেছে। তার সঙ্গে আছেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা আর কয়েকজন মন্ত্রীও। মমতা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না তার দপ্তরের কাছ থেকে সেনা সরছে, ততক্ষণ তিনি অফিসেই থাকবেন। রাজ্য সরকারের সদর দপ্তরের খুব কাছেই – কলকাতা লাগোয়া হাওড়া জেলায় ভাগীরথী নদীর ওপরে একটি মহাসড়কের টোল প্লাজাতে সেনা সদস্যরা সারাদিন অবস্থান করছিলেন। তবে মমতা ব্যানার্জী রাতে প্রতিবাদের সুর চড়ানোর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে ওই জায়গা থেকে সেনাবাহিনী সরে গেছে। তবুও এখন তিনি অফিসেই আছেন। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপূর্বাঞ্চলের আরও সাতটি রাজ্যের মোট ৬৮ টি জায়গায় একইভাবে ভারী যানবাহনের তথ্য যোগাড় করছেন সেনাসদস্যরা। এই প্রক্রিয়াটি বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এবং শুক্রবারেও তা চলার কথা বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।