হয় টাকা, নইলে মৃত্যু। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে টেলিফোনে তার স্বজনদের কাছে এভাবেই ঘুষ দাবি করেন পুলিশের এক তদন্ত কমকর্তা।
প্রাণ বাঁচাতে একবার দেয়ার পর আবারও দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে প্রতারণা মামলার আসামির স্বজনদের কাছে, ঘুষ চাওয়ার সেই টেলিফোন কথোপকথন থেকেই জানা যায় এ ঘটনা।
যাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলছেন, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। আর জেলা পুলিশ সুপার বললেন, দোষ প্রমাণ হলেই, নেয়া হবে ব্যবস্থা। এই কথোপকথন আসামির স্বজনদের সাথে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার।
ঘুষ চাওয়ার অভিনব এই ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের। ভুয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার মামলায় গেলো ১৭ নভেম্বর রাসেল ও সোহেল নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদফায় রিমান্ড আবেদন করে, পুলিশ। তাতে ৩ দিনের মঞ্জুর হয়। তবে, আসামির আইনজীবীর আবেদনে রিমান্ডের ওপর স্থগিতাদেশ দেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
তবে সেই আদেশের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছার আগেই, আসামিকে থানায় নিয়ে যান, তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আমিরুল ইসলাম। আসামির ফোন দিয়েই পরিবারের কাছে সরাসরি ঘুষ চান তিনি। এমনকি বিশ্বাস করাতে আসামির সাথেই কথা বলতে দেয়া হয় স্বজনদের।
এ নিয়ে অভিযুক্তের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আর বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, বিষয়টি জানা নেই তার। একে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। আসামির স্বজনদের অভিযোগ, ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তাদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।