কলম্বিয়ার মেদেইনে ব্রাজিলের একটি ফুটবল ক্লাবের খেলোয়াড়দের বহনকারী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্রাজিলের ফুটবলারসহ ৮১ আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১০টার দিকে মেদেলিন শহরের বাইরে কেরো গর্দো পার্বত্য এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বলিভিয়ার চার্টার এয়ারলাইনস লামিয়ায় এলএমআই ২৯৩৩ ফ্লাইটে ৭২ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আরোহীদের মধ্যে কেবল পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ছবি: কলম্বিয়ার নোটিসিয়া কারাকোল ছবি: কলম্বিয়ার নোটিসিয়া কারাকোল ভাড়া করা ওই উড়োজাহাজে ব্রাজিলের শাপেকোইনস ফুটবল দলের খোলোয়াড়রা ছিলেন। সাউথ আমেরিকান ক্লাব কাপের ফাইনালে কলম্বিয়ার দল আতলেতিকো নেশিওনালের সঙ্গে খেলতে মেদেলিনে যাচ্ছিলেন তারা।
ম্যাচের সংবাদ সংগ্রহের জন্য একদল সাংবাদিকও ছিলেন তাদের সঙ্গে। সাউথ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের এই দ্বিতীয় প্রধান প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ দুর্ঘটনার পর স্থগিত করা হয়েছে।
মেদেইনের হোসে মারিয়া করদোভা দে রিয়োনেগ্রো বিমানবন্দরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রিটিশ এরোস্পেস ১৪৬ মডেলের ছোট আকারের ওই উড়োজাহাজের চালক দুর্ঘটনার আগে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কথা নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানিয়েছিলেন।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হলেও বৃষ্টির কারণে আগুন খুব বেশি ছড়াতে না পারায় যাত্রীদের অনেকের বেঁচে যাওয়ার আশা করেছিলেন উদ্ধারর্মীরা। কিন্তু ৭৬ জনকেই বিমানের ধ্বংস্তূপে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন তারা।
এক বিবৃতিতে শাপেকোইনস ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলেছে, “আমাদের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং তাদের সঙ্গে যারা ভ্রমণ করছিলেন, ঈশ্বর তাদের সহায় হোক।”
ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আইভান তোজো স্থানীয় স্পোরটিভিকে বলেন, “শাপেকো শহরের বহু মানুষ আজ কাঁদছে। এমনটা যে ঘটতে পারে, তা আমরা কখনো ভাবিনি। শাপেকোইনস ছিল এই শহরের মানুষের আনন্দের সবচেয়ে বড় উৎস।”
যে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তাদের মধ্যে ওই দলের ডিফেন্ডার আলান রুশেলও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তৃপক্ষ।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শাপেকোর দল শাপেকোইনস ২০১৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম বিভাগে ওঠে। আর্জেন্টিনার সান লোরেঞ্জোকে হারিয়ে গত সপ্তাহে তারা সাউথ আমেরিকান ক্লাব ফুটবলের ফাইনালে পৌঁছে যায়।