আলোচিত সাত খুনের মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খানকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। তিনি বিএনপি-সমর্থক পেশাজীবী। রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও বিএনপিতে তাঁর কোনো পদ নেই।
আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাখাওয়াত হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়ার ঘোষণা দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বৈঠক করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। তবে ওই বৈঠক শেষে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। নারায়ণগঞ্জে আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত খুনের ঘটনায় আইনজীবীদের আন্দোলনে নেতৃত্বে ছিলেন আইনজীবী সমিতির তখনকার সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন। সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী তিনি।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকারকে দলের প্রার্থী হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিল বিএনপির। তিনি নির্বাচন করতে রাজি না হওয়ায় বিএনপিকে নতুন প্রার্থী খুঁজে নিতে হয়। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তৈমুর আলম খন্দকার। ভোট গ্রহণের সাত ঘণ্টা আগে তাঁকে কেন্দ্রের নির্দেশে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামাল দাবি করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত। নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা এবার ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।