খালেদার প্রস্তাব প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রয়াস: ইনু

0
236
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাবকে অযৌক্তিক, অবাস্তব, অসাংবিধানিক ও অস্বাভাবিক বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যুক্ত করা এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করার প্রস্তাব মূলত প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস।

আজ সোমবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উত্থাপিত ‘নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও এর কাঠামো’ সম্পর্কে ১৩ দফা প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্যের জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশন প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তলব করতে পারে। কিন্তু প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের’ দাবি তোলা প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া তাঁর প্রস্তাবে ‘সব রাজনৈতিক দল’ শব্দটির আড়ালে জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে হালাল করতে চান। ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ ও ‘ঐকমত্যে’র ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘অভিন্ন নাম’ খুঁজে বের করতে ‘বারবার আলোচনা’র নামে নির্বাচন কমিশন গঠনকেই তিনি অনির্দিষ্টকালের অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিতে চান। এতে করে নির্বাচনের নির্ধারিত সময় পার করে খালেদা জিয়া দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরির চক্রান্তে লিপ্ত। আর সে কারণেই খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব কোনো আলোচনারই সূত্র বা ভিত্তি হতে পারে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, খালেদা জিয়ার আসল এজেন্ডা নির্বাচন নয়। তিনি দেশে অনিশ্চয়তা ও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করে দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অস্বাভাবিক অসাংবিধানিক সরকার আনার অপপ্রয়াসেই লিপ্ত আছেন। তাঁর আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিদের রক্ষা করা এবং নিজের ও পুত্রের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম বন্ধ করা।’
বিএনপি নেত্রী তাঁর প্রস্তাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলার বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি মানুষ জঙ্গিবাদকে দেশের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করলেও তিনি তাঁর প্রস্তাবে জঙ্গিবাদের বিষয় সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার, প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানকে যখন বিজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন খালেদা জিয়ার এই প্রস্তাব জঙ্গিবাদীদের রক্ষার এক নতুন কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।’

শেয়ার করুন