বিএনপির প্রেসিডিয়াম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার বিদেশে প্রভু আছে, কিন্তু বন্ধু নেই।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনার বিদেশে প্রভু আছে কিন্তু বন্ধু নেই। তাই ফেলানীর লাশ ঝুললেও কিছু বলতে পারেন না তিনি। সীমান্তে বিজিবি গুলি না করার ঘোষণা দিলেও বিএসএফ কিন্তু দেয়নি। তারা তাদের মতো গুলি করছে। আমাদের মানুষ মরছে, গরু-ছাগল মরছে। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ নেই নতজানু সরকারের। গুম-খুন হত্যা তো চলছেই।
সরকার নিজেদের ইচ্ছা প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠুর আচরণ করছে অভিযোগ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, কথা বলার অধিকার নেই, কেউ লিখতে সাহস পায় না। যারা লিখছেন কেউ প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছেন না। মিডিয়া সরকারের তোষামোদ করছে। এই হলো দেশের অবস্থা।
মায়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের দেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
বিএনপির মধ্যে কেউ কেউ তারেক রহমানের নাম বিক্রি করে স্বার্থসিদ্ধি করছেন অভিযোগ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের ভেতরে কিছু ধান্দাবাজ তারেক রহমানের নাম বিক্রি করছেন। তারা বলে, ভাইয়ের সাথে কথা হইছে। কী আজব। এদের কাছ থেকে সাবধান থাকুন।
সভায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনার পর কে নেতৃত্ব দেবেন তা কিন্তু কেউ জানে না। কিন্তু বিএনপির পরবর্তী নেতৃত্ব যে তারেক রহমান দেবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর তাই তাকে নিয়ে এতো ষড়যন্ত্র।
মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সরকারের কোনো প্রতিবাদ নেই। অং সান সুচির নোবেল পুরষ্কার বাতিল করা উচিত।