ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের সাক্ষী তলবের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে কেন আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
সেইসঙ্গে ওই ধারার অপব্যবহার করার অভিযোগে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, গাজীপুরের এসপি, গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও উপ-পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদন থেকে জানা যায়, ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওলি উল্লাহ গাজীপুরের গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ক্যাকটাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানির এমডি আশিষ কুমার শর্মার বিরুদ্ধে ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওনা পরিশোধ না করার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
এরপর গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজ গত ৬ নভেম্বর আশিষ শর্মার নামে একটি চিঠি পাঠান যেখানে তাকে ১৬০ ধারা অনুযায়ী ডিবি কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন দায়ের করেন আশিষ কুমার শর্মা। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. উজ্জ্বল হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
সোমবার শুনানির পর উজ্জ্বল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারার ক্ষমতাবলে কেবল নিয়মিত মামলার তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীদের ডাকা যায়। এ ক্ষেত্রে তার বত্যয় ঘটেছে।”