নির্বাচন কমিশন গঠনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ আহ্বান জানান। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, একজন জাতীয় নেতা হিসেবে খালেদা জিয়া দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন। গুলশান হামলার পরে তিনি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন, সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। ক্ষমতাসীনেরা সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, তাঁরা বলছেন না বিএনপির চেয়ারপারসনের দেওয়া এই প্রস্তাবই চূড়ান্ত প্রস্তাব। এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হতে পারে। তিনি এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ফখরুল ইসলামের দাবি, সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এ কারণে তারা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমান নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। এখন প্রবাসে বসেও তিনি দেশের জন্য চিন্তা করছেন, কাজ করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু স্লোগান দিলে হবে না। তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
খালেদা জিয়ার দেওয়া প্রস্তাব আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করার সমালোচনা করে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, এই প্রস্তাব অন্তঃসারশূন্য হলে এটা নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে কেন? প্রস্তাবের কোন অংশটি তারা প্রত্যাখ্যান করছেন, তা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সৎসাহস থাকলে সরকারের মুখে বলা উচিত যে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য মওদুদ আহমদ দাবি করেন, এখন দেশে কোনো রাজনীতি নেই। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললে কারাগারে যেতে হয়। এমন অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। একদিন শুভদিন আসবেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস দাবি করেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারেক দেশে ফিরলে কেউ তাঁকে আটকে রাখতে পারবে না।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ বক্তব্য দেন।