সমালোচনার জবাবে যা বললেন জাকারবার্গ

0
592
Print Friendly, PDF & Email

ফেসবুক নাকি মিথ্যার কারখানা! সেখানে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি! মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ফেসবুকের ভুয়া খবর ছড়ানোর ভূমিকা নিয়ে নানা সমালোচনা সইতে হচ্ছে জাকারবার্গকে। অবশ্য জাকারবার্গ এ ধারণাকে ‘পাগলামি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে সমালোচনা থামছে কোথায়? মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পর্যন্ত সমালোচকদের দলে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ফেসবুকে ভুয়া খবর ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে বলতে হলো জাকারবার্গকে। মার্ক জাকারবার্গ গতকাল শনিবার ফেসবুকে সমালোচকদের উদ্দেশে একটি পোস্ট লিখেছেন।

ওই পোস্টে জাকারবার্গ জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘অনেকেই ফেসবুকে ভুয়া তথ্যের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি তাঁদের জ্ঞাতার্থে কিছু হালনাগাদ তথ্য জানাচ্ছি।’

জাকারবার্গের ভাষ্য, ‘আমরা ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমাদের লক্ষ হচ্ছে মানুষের কাছে অর্থবহ কোনো খবর পৌঁছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আমরা জানি, মানুষ সঠিক তথ্য পেতে চায়। দীর্ঘদিন ধরেই এ সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। আমরা দায়িত্বটি গুরুত্ব দিয়ে নিচ্ছি। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, তবে আরও কাজ বাকি। ধারাবাহিকভাবে আমরা কোনটি সঠিক আর কোনটি ভুয়া, তা বুঝতে ফেসবুক কমিউনিটির ওপর নির্ভর করি। যে-কেউ ফেসবুকের যেকোনো লিংককে ভুয়া বলে অভিযোগ দিতে পারে। ওই অভিযোগগুলো ধরে এবং কিছু সাইটের সহায়তার ভুয়া পোস্টগুলো শনাক্ত করা হয়। স্প্যাম, স্ক্যাম, ক্লিকবেইটের মতো বিষয়গুলোকে কঠোরভাবে ঠেকানো হয়, যাতে তা নিউজফিডে ছড়াতে না পারে। এই প্রক্রিয়া কারিগরি ও দর্শনের দিক থেকেও যথেষ্ট জটিল।’

জাকারবার্গ বলেন, ‘মানুষকে কথা বলার ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বিশ্বাসী। যার অর্থ, মানুষ যখন যা চায় তার পক্ষে তা যেন শেয়ার করা সম্ভব হয়। মানুষ যাতে তাদের মতামত শেয়ারে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে, সে বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বা ভুল করে সঠিক কনটেন্ট প্রকাশে যাতে বাধা না পড়ে, তা দেখতে হবে।’

জাকারবার্গ আরও বলেন, ফেসবুকে ভুয়া তথ্যের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও অনেক কাজ বাকি। আমাদের যে কাজ চলছে, সে বিষয়ে এখনই আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভুয়া খবর শনাক্ত করার শক্তিশালী পদ্ধতি, ভুয়া খবর সম্পর্কে অভিযোগ দেওয়ার সহজ পদ্ধতি, থার্ড পার্টির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা, সতর্ক করা, ওই খবর সম্পর্কে আরও খবর জানানো ও ভুয়া খবর থেকে অর্থ আয় ঠেকানোর মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে খবরে সত্যতা যাচাই করার কাজও করা হবে। তবে এ ধারণাগুলোর মধ্যে সব কটি কাজ নাও করতে পারে। ফেসবুক কমিউনিটির জন্য এর গুরুত্ব ভেবে এটি ঠিক করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ তথ্যসূত্র: ফেসবুক।

শেয়ার করুন