নকশায় ৬০ ফুট প্রশস্ত সড়ক থাকলেও তা নেই রাজধানী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের একাংশে; সেই স্থানে গড়ে ওঠা প্রভাবশালীদের পাঁচটি প্লটের কারণে আটকে গেছে হাতিরঝিলে চলাচলের পথ।
নকশায় থাকা সড়কে ৫টি প্লট বানিয়ে তা বরাদ্দ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এর তিনটি দেওয়া হয়েছে বিএনপি আমলে মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকার সময়; দুটি দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলে আবদুল মান্নান খান প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে।
আওয়ামী লীগ আমলে ২০১০ সালে প্লট দুটি পেয়েছেন বিমানমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং কামাল উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ‘লোক’ বলে পরিচয় দিয়েছেন।
বিএনপি আমলে ২০০৬ সালে প্লট তিনটির দুটি পান সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া (সদ্যপ্রয়াত), অন্যটি পান সাবেক জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল ইসলাম।
এই প্লটগুলোর কারণে বৌবাজার থেকে হাতিরঝিলের সংযোগ সড়কটি জটিলতায় পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. জামাল আক্তার ভূঁইয়া।
এই জট কাটাতে নকশা ভেঙে তৈরি করা অবৈধ প্লট বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
তেজগাঁও শিল্প এলাকার মূল নকশা অনুযায়ী জাতীয় নাক, কান ও গলা ইনস্টিটিউটের সামনে বিপরীত দিক থেকে শুরু হয়ে হাতিরঝিল পর্যন্ত ৬০ ফুট চওড়া সড়কটির অবস্থান।
এ সড়কের দুপাশে তেজগাঁওয়ের ১৩৬, ১৩৭, ১৩৩, ১৩৮, ১৩২, ১৭১, ১৩২, ১৭২, ১২৮ এবং ১৭৩ নম্বর প্লটের অবস্থান। সড়কটি শুরু হয়েছে ১৩৬ ও ১৩৭ প্লটের কাছ থেকে, শেষ হয়েছে ১২৮ ও ১৭৩ নম্বর প্লটের মাঝামাঝি।
নকশায় যেখানে সড়ক (লাল চিহ্নিত), সেখানে এখন রয়েছে প্লট নকশায় যেখানে সড়ক (লাল চিহ্নিত), সেখানে এখন রয়েছে প্লট
সরেজমিন দেখা যায়, ১৩২ ও ১৭১ নম্বর প্লটের মাঝখানে ১৭১/১ নম্বর প্লট তৈরি করা হয়েছে। ১৭১/২ নম্বর প্লট করা হয়েছে ১২৮ ও ১৭৩ নম্বর প্লটের মাঝখানে। ১৩৩/১/ক ও ১৩৩/১/খ নম্বর প্লট বানানো হয়েছে ১৩৩ এবং ১৩৮ নম্বর প্লটের মাঝে। ১৩৬ এবং ১৩৭ নম্বর প্লটের মাঝামাঝি সড়কের অংশে ১৩৬/১ নম্বর প্লট তৈরি করা হয়েছে।
নকশায় সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ মিটার হলেও এর ১৩০ মিটার অংশজুড়েই প্লট বানানো হয়েছে। প্রথম ১৩০ মিটারের মধ্যে ৬০ ফুট প্রশস্ত সড়কের পুরোটা জুড়েই প্লট বানানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ১৩৩/১/ক, ১৩৩/১/খ এবং ১৩৬/১ নম্বর প্লট।
সড়কের বাকি অংশে ৬০ ফুট প্রশস্তের মধ্যে ৪০ ফুট নিয়ে করা হয়েছে ১৭১/১ এবং ১৭১/২ নম্বর প্লট। এখানে এখনও ২০ ফুট সড়ক রয়ে গেছে।
নতুন বানানো ওই পাঁচটি প্লটে প্রতি বিঘা জমির বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। প্লট গ্রহীতারা সে হিসেবে দাম পরিশোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জিয়ার প্লটে এখন মোরশেদ খানের ছেলে
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নথি অনুযায়ী, ১৭১/১ এবং ১৭১/২ নম্বরের দুটি প্লটে জমির পরিমাণ ১১ দশমিক ৬০ কাঠা। এ দুটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মেসার্স রয়েল ফিলিং স্টেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। এর মালিক হিসেবে নাম আছে লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিয়ার।
জিয়াউল হকের প্লটে দোকান-পাট; এটির মালিক এখন এম মোরশেদ খানের ছেলের বলে জানা গেছে জিয়াউল হকের প্লটে দোকান-পাট; এটির মালিক এখন এম মোরশেদ খানের ছেলের বলে জানা গেছে
জিয়া এ মাসের শুরুতে মারা যান। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জিয়া তার প্লট পরে বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল খানের কাছে বিক্রি করে দেন।
প্লটের পাশে কয়েকটি দোকান করা হয়েছে, তবে সেগুলো বন্ধ পাওয়া গেছে। আরেক পাশে গাড়ি মেরামতের কারখানা রয়েছে, তবে সেখানে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
সেখানকার পাহারাদাররা জানান, প্লটের মালিক মোরশেদ খানের ছেলে ফয়সাল খান।
গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক মোটরসের মালিক তারাই।
রাস্তা ছিল না, দাবি কামরুলের
নথি অনুযায়ী ১৩৬/১ নম্বর প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ফোকাস ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। এ প্লটের আয়তন ২১ দশমিক ০৪ কাঠা।
ফোকাস ফ্যাশনসের মালিক হিসেবে নাম আছে গুলশান-উত্তরা এলাকায় বিএনপির সাবেক সংসদ কামরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা ইসলামের। কামরুল ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক।
ফোকাস ফ্যাশনসের নামে কামরুল ইসলামের পাওয়া প্লটে এখন চলছে মিলেনিয়াম অটো সার্ভিসের কার্যক্রম ফোকাস ফ্যাশনসের নামে কামরুল ইসলামের পাওয়া প্লটে এখন চলছে মিলেনিয়াম অটো সার্ভিসের কার্যক্রম
২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর নাজমা ইসলামের নামে প্লটটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। তিনি দখল বুঝে পেয়েছিলেন ওই বছরের ১৯ অক্টোবর।
ফোকাস ফ্যাশনসের সাইনবোর্ড থাকলেও সেখানে বর্তমানে মিলেনিয়াম অটো সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলতে দেখা যায়।
সেখানে কোনো রাস্তা ছিল না বলে দাবি করেছেন ফোকাস ফ্যাশনসের পরিচালক কামরুল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সেখানে কোনো রাস্তা নাই, কোনোদিনও ছিল না। একসময় প্ল্যান ছিল, সেটা পাকিস্তান আমলে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।”
নকশায় সড়কটি থাকার কথা তুলে ধরলে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা সরকারের আছে একটা প্লট চেয়েছি। আমাদের সেখানে দিয়েছে। রাস্তা ছিল কি ছিল না, সেটা সরকার বলতে পারবে।”
প্লট তো আমি করিনি: মেনন
মন্ত্রী মেননের মালিকানাধীন সুদীপ্ত প্রিন্টার্স অ্যান্ড প্যাকেজার্সকে ১৩৩/১/ক নম্বর প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ঠিকানা ৯ ইস্কাটন গাউস নগর, ঢাকা ১০০০।
এ প্লটে জমির পরিমাণ প্রায় ৬ দশমিক ১৭ কাঠা। প্লটে সুদীপ্ত প্রিন্টার্সের কারখানা দেখা যায়।
রাশেদ খান মেননের প্লটে সুদীপ্ত প্রিন্টার্সের কারখানা রাশেদ খান মেননের প্লটে সুদীপ্ত প্রিন্টার্সের কারখানা
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নথি অনুযায়ী ২০১০ সালের ১ এপ্রিল বরাদ্দ দেওয়া প্লটটির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয় ওই বছরের ৮ অগাস্ট।
সেখানে কোনো সড়ক ছিল না বলে দাবি করেন ঢাকার সংসদ সদস্য মেনন। তিনি দাবি করেন, ৬০ ফুট রাস্তা সামনে দিয়ে গেছে।
“সেখানে সড়ক ছিল কে বলেছে? সেখানে প্লট ছিল,” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তিনি।
গণপূর্তের মূল নকশায় রাস্তাটি রয়েছে বলে জানালে মেনন বলেন, “আমি খুব ভালো করে জানি এটা। এটা নিয়ে বহু কিছু হয়েছে।”
সড়কের জায়গায় করা প্লট নেওয়া ঠিক হল কি না- এ প্রশ্নে বাম এই নেতা বলেন, “এতে সমস্যার কিছু নেই। প্লট যদি থাকে সরকারের, প্লটতো পাবই। রাস্তাই যদি থাকত, তাহলে প্লট দিত কেন? আমি তো আর প্লট বের করিনি। এটা তো দিয়েছে মন্ত্রণালয়।”
নাসিমের ‘লোক’ দাবি, নাসিমের অস্বীকার
১৩৩/১/খ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৫ কাঠা প্লটের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নীলা কম্পিউটার পয়েন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নাম আছে কামাল উদ্দিন আহমেদের। ঠিকানা দেওয়া হয়েছে- ঢাকার ৪/১৬ রাজিয়া সুলতানা সড়ক, মোহাম্মদপুর।
নথি অনুযায়ী ২০১০ সালের ১ এপ্রিল প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়, দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয় ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফটকে লোহার ফটক। ভেতরে দুটি টিনশেড ঘর। মাঝখানে খালি জায়গা। একপাশে কয়েকটি মাচায় লাউয়ের চারা লাগানো আছে।
কামাল উদ্দিন নামে একজনকে দেওয়া প্লটটিতে কিছুই নেই কামাল উদ্দিন নামে একজনকে দেওয়া প্লটটিতে কিছুই নেই
এটি নীলা কম্পিউটার পয়েন্ট কি না- জানতে চাইলে ভেতরে থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে তত্ত্বাবধায়ক পরিচয় দিয়ে মো. আবদুল করিম নামে একজন বলেন, কামাল উদ্দিন আহমেদ নামে কাউকে তিনি চেনেন না।
“এই প্লট নাসিম মন্ত্রী স্যারের। আমি এইটা দেহাশুনা করি। এর বেশিকিছু কইতে পারুম না।”
করিম জানান, গত একবছর ধরে তিনি এখানে আছেন। ঘরগুলোও করা হয়েছে বছরখানেক আগে।
কামাল উদ্দিন আহমেদ নামে কাউকে চেনেন না বলে দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, “সেখানে আমার প্লট আছে কে বলল। কেউ বললেই তো আর হল না।”
এবিষয়ে জানতে চাইলে কামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রী নাসিম তার নেতা। তবে প্লটটি তারই।
‘আপনার কেয়ারটেকার নাসিম সাহেবের কথা বলে কেন’- এ প্রশ্নে কামাল উদ্দিন বলেন, “আমি নাসিম ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে আবার আপনাকে ফোন দিচ্ছি।”
পরে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আপনি কি জানতে চান আমার কাছে? এটা আমার নামে প্লট। আমি রাজউকে প্ল্যান জমা দিয়েছি। সেখানে বিল্ডিং করব।”
‘নাসিম ভাই’কে ফোন দিয়েছিলেন কি না- জানতে চাইলে কামাল বলেন, “আপনার আমাকে দরকার, আমাকে ফোন দিয়েছেন, আমি উত্তর দিয়ে দিলাম, ঠিক আছে? আপনি পূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, এই প্লটের মালিক কে।”
নতুন অধিগ্রহণেও জটিলতা
হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা জনান, হাতিরঝিলের মূল পরিকল্পনায় তেজগাঁওয়ের সঙ্গে দুটি সংযোগ সড়ক আছে। এর একটি আড়ংয়ের কাছে, আরেকটি বৌবাজার অংশে।
আড়ংয়ের কাছে সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু জমি নিয়ে জটিলতায় আটকে আছে বৌবাজার সংযোগ সড়কের কাজ।
নকশায় থাকা সড়কটি (লাল চিহ্নিত) নকশায় থাকা সড়কটি (লাল চিহ্নিত)
হাতিরঝিলের ব্যবহার বাড়াতে এ সংযোগ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রকল্প পরিচালক মো. জামাল আক্তার ভূঁইয়া।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ লিংক রোড চালু হলে মগবাজার-মালিবাগ থেকে মধুবাগ হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে সহজে যাতায়াত করা সম্ভব হবে।
“এখন এসব এলাকা থেকে বের হতে হলে মগবাজার বা রামপুরা ঘুরে যেতে হয়, সংযোগ সড়ক চালু হলে পথ কমবে। এ সংযোগ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই এটি হাতিরঝিল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, হাতিরঝিল থেকে বৌবাজার পর্যন্ত এখন ২০ ফুট সড়কের জায়গা আছে। এর দুপাশে ২০ ফুট করে আরও ৪০ ফুট জমি অধিগ্রহণ করে দিতে জেলা প্রশাসনে চিঠি পাঠায় রাজউক।
শিল্পাঞ্চলের নকশা শিল্পাঞ্চলের নকশা
জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের অনুমতি দিলে সেখানে গিয়েছিলেন রাজউকের কর্মকর্তারা। তখন ওই সব জমির মালিকরা বলেন, গণপূর্তের মহাপরিকল্পনায়ই তো ৬০ ফুট সড়ক রয়েছে। সেখানে প্লট বানিয়ে বরাদ্দ দিয়ে এখন আবার জমি অধিগ্রহণ কেন?
কর্মকর্তারা জানান, হাতিরঝিল প্রকল্পের বেশিরভাগ কাজ শেষ। এখন বাড্ডার ইউলুপ, ব্যবস্থাপনা ও গাড়ি পার্কিং ভবন এবং এম্ফোস্ফিয়ার নির্মাণের কিছু কাজ বাকি আছে।
তবে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
বাতিল হবে বরাদ্দ: মন্ত্রী
নকশা ভেঙে প্লট তৈরির বিষয়টি তুলে ধরা হলে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাস্তা ছোট করে বা রাস্তা বন্ধ করে প্লট হইতে পারে না। ইট ইজ ইলিগ্যাল। আমি তো আগে মন্ত্রী ছিলাম। কই আমি করেছি?
“সেখানে যেই করুক, যার আমলেই করা হোক না কেন, এগুলো (বরাদ্দ) বাতিল করা হবে।”