রোহিঙ্গা নির্যাতন অং সান সু চির নোবেল প্রত্যাহারের দাবি

0
432
Print Friendly, PDF & Email

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ব্যাপারে অবস্থান নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই আবেদন জানানো হয়।

নরওয়ের নোবেল শান্তি কমিটি, যারা এই পুরস্কার দেয়, তাদের প্রতি আবেদনে এই পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে চেঞ্জ ডট অর্গে এই আবেদনটি করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদেরই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। সু চির মতো যাঁরা এই পুরস্কার পান, তাঁরা শেষ দিন পর্যন্ত এই মূল্যবোধ রক্ষা করবেন, এটাই আশা করা হয়। যখন একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হন, তখন শান্তির স্বার্থেই নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির উচিত এই পুরস্কার হয় জব্দ করা, নয়তো ফিরিয়ে নেওয়া।’

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সরকারের ধারাবাহিক নির্যাতনের ব্যাপারে সু চি তাঁর নিশ্চুপ ভূমিকার কারণে সমালোচিত হয়েছেন। তিনি এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে এমন অনুরোধও জানিয়েছেন যেন রোহিঙ্গাদের এই নামে উল্লেখ করা না হয়।

চেঞ্জ ডট অর্গে সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহারের আবেদনের শুরুতে বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হোসেন সম্পর্কে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন, সেই ঘটনারও উল্লেখ করা হয়। বিবিসির মিশাল হোসেনকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে অং সান সু চিকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে মিয়ানমারের আচরণ নিয়ে অনেক অপ্রিয় এবং কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারের পর সু চি মন্তব্য করেছিলেন, ‘সে (মিশাল হোসেন) যে একজন মুসলিম কেউ তো আগে আমাকে জানায়নি।’

আবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সু চির মুখ থেকে যখন এ রকম কথা শোনা যায়, তা তখন অনেককেই অবাক করেছিল।

ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ সু চিকে তাঁর শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য শ্রদ্ধা করে এ কথা জানিয়ে এতে বলা হয়, কিন্তু তাঁর এ ধরনের মন্তব্য বহু মানুষকে ক্রুদ্ধ এবং হতাশ করেছে। মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে সু চির মনোভাব আসলে কী, সে ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

এতে বলা হয়, যাঁরা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ, তাঁদেরই শুধু এই পুরস্কার দেওয়া উচিত।

শেয়ার করুন