কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে আলুর

0
381
Print Friendly, PDF & Email

রাজধানীর পাইকারি বাজারগুলোতে শীতের সবজি সরবরাহ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। কিছুটা ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসছে। তবে বেড়েছে আলুর দাম।

শুক্রবার সরেজমিনে জানা যায়, কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজারে পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিদরে, যা কয়েক সপ্তাহ আগেও ২৪ টাকায় পাওয়া যেত। আর নতুন আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। শিম ৪৫ থেকে ৫০, পটোল ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গোল বেগুন ৩৫, সাদা মুলা ২৫ থেকে ২৮, করলা ৩৫ থেকে ৩৭, কাঁচামরিচ ৩৫, কাঁচা টমেটো ৫০, পাকা টমেটো ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০, পেঁপে ২০, ফুলকপি ছোট ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ পাঁচ কেজি ১৭০ ও বিদেশি ১১০, রসুন কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে সালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘শীতের সবজির দাম এখনো অনেক বেশি। আমাদের মতো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আসেনি। দাম কমেনি কিন্তু বাজারে শীতের সবজির অভাব নেই। এখনো একটি ফুলকপি কিনতে ৫০ টাকা লাগে। প্রতি কেজি নতুন আলু কিনতে গুনতে হয় ৮০ টাকা।’

কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে শীতের সবজির আমদানি এখনো সে রকম হচ্ছে না। তবে প্রতিনিয়ত আমদানি বাড়ছে। পুরোদমে নামলে বাজার আরো কমবে। তবে ধীরে ধীরে সবজির মূল্য কমতে শুরু করেছে। এখন যেগুলো বাজারে দেখছেন সেগুলো শীতের আগাম সবজি। তাই দামও একটু বেশি।

অন্যদিকে কারওয়ান বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা আলী জানান, দেশি আইড় মাছ ৩০০ টাকা, বাইন ৪০০ টাকা, ফলুই ৩৫০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, পুঁটি ৩০০ টাকা, দেশি কৈ ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, মাগুর ৫০০ টাকা, কাচকি মাছ ২৫০ টাকা এবং শোল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজিদরে।

শান্তিনগর কাঁচা বাজারের মাছ বিক্রেতা আক্কাস জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের বাজারে দামের তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তিনি জানান, আকার ভেদে প্রতি হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা, রুই মাছ ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পুঁটি ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, চিংড়ি (বড়) এক হাজার ২০০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৫৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের প্রতিটি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২৫ থেকে ৩৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শান্তিনগর কাঁচাবাজারে কথা হয় সরকারি চাকরিজীবী সামছুল আলমের সঙ্গে। তিনি জানান, সবজির দাম কিছুটা কমলেও মুরগির দাম অনেক চড়া।

শান্তিনগর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী জসিম জানান, প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা, চায়না রসুন ১৯০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, একদানা রসুন ১৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ১২০ টাকা, খেসারির ডাল ৫৫ টাকা, মুগডাল ১২০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, চিনি ৫০ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা ১১৫ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন পুরোদমে শীতের সবজি আসছে। আকাশ ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরো কমতে পারে বলে জসিম জানায়।

অন্যদিকে মোটা চাল কেজিতে কমেছে দুই থেকে চার টাকা। প্রতি কেজি স্বর্ণা ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকা, পারিজা ৩৮ টাকা, পাইজান ৪০ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪২ টাকা, জিরা নাজির ৫৫ টাকা, আটাশ ৪২ টাকা, বিআর-২৮ ৪৩ টাকা, বিআর-২৯ ৪৩ টাকা, হাসকি ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগের চাল ব্যবসায়ী তোতা মিয়া জানান, কয়েকদিন থেকে মোটা চালের দাম কেজিতে কয়েক টাকা কমেছে। বাজারে নতুন চাল আসায় এর প্রভাব পড়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন