২৩, ৭১, ৭৭।
রোনাল্ডো, রোনাল্ডো অ্যান্ড রোনাল্ডো।
প্রথমে ফ্রিকিক, তার পর পেনাল্টি, তার পর আরও একটা। হ্যাটট্রিক।
পেনাল্টি থেকে গোল করেই ছুটে গিয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। কয়েক সেকেন্ডের বিরতি। হাঁটু মুড়ে বসে থুতনিতে হাত দিয়ে কিছু একটা ভাবার ভঙ্গি আর তার পরই সতীর্থদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতলেন।
প্রথমার্ধে ছবির মতো গোল আর দ্বিতীয়ার্ধে কোকের সঙ্গে মাথা ঠোকাঠুকি করে হলুদ কার্ডও দেখলেন। ম্যাচ শেষে রিয়েল মাদ্রিদের ৩-০ জয়ের ম্যাচে হ্যাটট্রিক লেখা থাকল তাঁর নামে। তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। শুরু থেকেই হোমটিমকে চাপে রেখেছিলেন তিনিই। অ্যাটলেটিকো গোলের সামনেই সারাক্ষণ ছটফট করতে দেখা গেল তাঁকে। যার ফল ম্যাচ শেষে সব ক’টি গোলই লেখা থাকল তাঁরই নামে।
লিগ তালিকার শীর্ষে থেকেই মাদ্রিদ ডার্বি খেলতে নেমেছিল রিয়েল মাদ্রিদ। উল্টোদিকে তখন পাঁচ নম্বরে অ্যাটলেটিক মাদ্রিদ। কিন্তু এই সবকে ছাপিয়ে গিয়েছিল রোনাল্ডো বনাম গ্রিজম্যানের লড়াই। ছাপিয়ে গিয়েছিল মাদ্রিদ ডার্বিকেও। আলোচনার শীর্ষে তখন বিশ্ব ফুটবলের দুই তারকা প্লেয়ার। তবে শুরুটা করেছিলেন সিআর সেভেনই। শেষটাও করলেন তিনি। গ্রিজম্যানকে পুরো ম্যাচে বার কয়েক দেখা গেল ঠিকই। কিন্তু এটা পরিষ্কার যতই তাঁকে নিয়ে বিশ্ব ফুটবল মাতামাতি করুক না কেন রোনাল্ডো বা মেসির পর্যায়ে পৌঁছে আরও কিছুটা সময় দিতে হবে তাঁকে।
২৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রিকিক থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর শট অ্যাটলেটিকো ওয়ালের মাথার উপর দিয়ে যখন গোলে ঢুকছে তখন ওবলাকের ঝাঁপিয়েও কিছু করার ছিল না। তার আগেই অবশ্য দু-দু’বার এগিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রিয়েলের সামনে। এই ওবলাককেই তখন ত্রাতার ভূমিকায় নামতে হয়েছিল। প্রথমবার ১১ মিনিটে। যখন মার্সেলোর ক্রসে রোনাল্ডোর হেডে রীতিমতো বুলেটের গতিতে গোলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল বল। তখন গোলের নচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন ২৩ মিনিটে পরাস্ত হওয়া অ্যাটলেটিকো গোলকিপার। এর পর আবার ২০ মিনিটে গ্যারেথ বেলের নিশ্চিত গোলের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তিনি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি অ্যাটলটিকো মাদ্রিদ। ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সহজেই ২-০ করে যান সিআর সেভেন। আর তার ঠিক ছ’মিনিটের মধ্যেই কাউন্টার অ্যাটাকে লেফট উইং থেকে গ্যারেথ বেলের একটা মাপা পাস বক্সের মধ্যে থেকেই গোলে পাঠান সেই রোনাল্ডো। আর এখানেই শেষ হয়ে মাদ্রিদ ডার্বি। লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতে শীর্ষেই থেকে গেল রিয়েল মাদ্রিদ। ১২ ম্যাচে রিয়েলের পয়েন্ট ২৪। দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনার পয়েন্ট সমসংখ্যক ম্যাচে ১৯। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ থেকে গেল পাঁচেই।