ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি কমাতে কেন্দ্রীয়ভাবে অথবা আঞ্চলিকভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা সবার দায়িত্ব উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষার্থীদের এ বছর খাওয়া, থাকা ও যাতায়াতে বড় ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।
আবদুল হামিদ আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য এক শহর থেকে অন্য শহরে যাতায়াত করতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের বিরাট ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
রাষ্ট্রপতি আজ নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অষ্টম ইউজিসি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ইউজিসি সদস্য দিল আফরোজ বেগম এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত আয়শা আক্তার ও ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে বক্তৃতা করেন।
মৌলিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৯ জন গবেষককে ইউজিসি পুরস্কার ২০১৪ ও ২০১৫ দেওয়া হয়।
মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণাকে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের চালিকাশক্তি আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষক ও গবেষকরা শিক্ষার মান বজায় রাখা ও উন্নয়নে মূল ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষক ও গবেষকরা তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের নতুন দিগন্তের সূচনা করবেন বলে দেশ প্রত্যাশা করে।
আবদুল হামিদ আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেবলমাত্র শিক্ষার জায়গা নয়, এগুলো মুক্তচিন্তা শিক্ষারও বিশাল ক্ষেত্র। সুতরাং শিক্ষার্থীদের সমকালীন বিশ্বের নানা বিষয়ে জানতে তাদের দৈনন্দিন অধ্যয়ন কাজের বাইরেও ছুটতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং জনগণের সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব। যারা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে তাদের অবশ্যই শনাক্ত ও নির্মূল করতে হবে।