এবার ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
জেএসসির দায়িত্ব নেবে না গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
জেএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার সময়সূচি
সচিবালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “নকলমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
দেশের ২৮ হাজার ৭৬১টি প্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থীরা আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নেবে; যার সময়সূচি এর মধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।
নাহিদ জানান, ছাত্রদের থেকে এবার একলাখ ৬৪ হাজার ২৯ ছাত্রী বেশি। ২৪ লাখ ১২ হাজার ৭৭৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৪০২ জন ছাত্রী; ছাত্র ১১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৩।
জেএসসিতে আট বোর্ডের অধীনে এবার ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৩০৩ জন এবং জেডিসিতে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে তিন লাখ ৭৪ হাজার ৪৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে।
গত বছর এই পরীক্ষায় ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন অংশ নিয়েছিল জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার ৮৬ হাজার ৮৪২ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
এবার জেএসসিতে একলাখ তিন হাজার ৬৫৩ ও জেডিসিতে ১৮ হাজার ২১ অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অংশ নেবে বলেও জানান নাহিদ।
তিনি বলেন, এক থেকে তিন বিষয়ে যারা অকৃতকার্য হয়েছিল, তারাও এবার ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেবে।এই সংখ্যা জেএসসিতে ৯১ হাজার ৮৬১; জেডিসিতে ১৪ হাজার ৬৯৮।
দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে এবার ৬৮১ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
ফাইল ছবি ফাইল ছবি এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে নেওয়া হবে বলে নাহিদ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, তারা শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।
“প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।”
মন্ত্রী জানান, বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে, অর্থাৎ এসএসসির মতো দুটি অংশে আলাদা পাসের প্রয়োজন নেই।
সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জেএসসি-জেডিসির পরীক্ষার দায়িত্ব না নেওয়ায় এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই পরীক্ষা হবে।
শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।